আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর সাহস সৌদি আরবের নেই। একথা বলেছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জাফারি। রেডিও তেহরানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
সিরিয়ায় হযরত যেইনাব সালামুল্লাহি আলাইহার মাজার রক্ষার কাজে নিয়োজিত আইআরজিসি’র ছয় জওয়ানের দাফন অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন তিনি। গত সপ্তাহে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের হামলায় এসব জওয়ান শহীদ হন।
সৌদি আরব বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছিল, মার্কিন নেতৃত্বাধীন দায়েশ বিরোধী আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিয়ে সিরিয়ায় সেনা পাঠাতে চায় রিয়াদ। একজন সৌদি সেনা মুখপাত্র বলেন, আন্তর্জাতিক জোট চাইলে সিরিয়ায় সেনা পাঠাবে রিয়াদ।
এর প্রতিক্রিয়ায় জেনারেল জাফারি বলেন, সৌদি সরকার দাবি করেছে দেশটি সিরিয়ায় সরাসরি সেনা পাঠাতে চায়। তবে আমার মনে হয় না তার সে সাহস আছে। রিয়াদ যদি এ কাজ করে তাহলে তা হবে সৌদি আরবের আত্মহত্যার শামিল।
আইআরজিসি’র কমান্ডার বলেন, সিরিয়ায় সরাসরি যুদ্ধে সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা ইরানের নেই। কিন্তু আইআরজিসি’র হাজার হাজার জওয়ান সিরিয়ায় যাওয়ার জন্য তীব্র আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাদেরকে যদি বলা হয়, সিরিয়ায় পরামর্শক হিসেবে এত বেশি সংখ্যক জওয়ান পাঠানোর প্রয়োজন নেই তখন তারা ক্ষুব্ধ হয়।
সিরিয়ায় বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনী যে যুদ্ধ করছে তাতে পরামর্শক হিসেবে সীমিত সংখ্যক সেনা পাঠিয়েছে ইরান। সেইসঙ্গে তেহরান ঘোষণা করেছে, সরাসরি যুদ্ধ করার জন্য সৈন্য পাঠানোর কোনো ইচ্ছা দেশটির নেই।
গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে বিশ্বনবী (সা.)’র নাতনি হযরত যেইনাব সালামুল্লাহি আলাইহার মাজারের কাছে ভয়াবহ বোমা হামলা চালায় উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ। ওই হামলায় অন্তত অর্ধশত মানুষ নিহত হন যাদের মধ্যে ইরানের আইআরজিসি’র ছয় জওয়ান ছিলেন।
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই