আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাত্র ৩০ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন কেনার কথা ভাবছেন? ভেবে পাচ্ছেন না কোনটা কিনবেন? এই প্রশ্নের উত্তরগুলো যদি ‘হ্যা’ হয় তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।
বর্তমানে দেশের বাজারে মিড রেঞ্জের স্মার্টফোনগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তুলনামূলক কম দামে ফ্ল্যাগশিপ ফোনের স্বাদ পেতে মিড রেঞ্জের ফোনগুলোর কোন তুলনা হয় না।
মিড রেঞ্জের ফোনগুলো ফিচার-রিচ হওয়ায় গ্রাহকদের মনে সবসময় আলাদা একরকম আকর্ষণ কাজ করে থাকে। পারফর্মেন্স, ডিসপ্লে, ডিজাইন এসব বিবেচনায় ৩০ হাজার টাকা মধ্যে যে ফোনগুলো এগিয়ে রয়েছে সেগুলো আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হলো।
Oppo F17 : ফোনটি ২৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটিতে থাকছে ৬.৪৪ ইঞ্চি ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল। চিপসেট হিসেবে থাকছে ২ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২। সাথে গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে থাকছে এড্রিনো ৬১০ জিপিইউ।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটিতে রয়েছে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা ডেডিকেটেড মাইক্রো এসডি কার্ড স্লটের মাধ্যমে আরো বাড়ানো যাবে। ছবি তোলার জন্য এর পিছনে রয়েছে ১৬+৮+২+২ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ এবং সেলফি তোলার জন্য সামনে রয়েছে এফ/২ অ্যাপার্চারের ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
ব্যাকআপ সুবিধা দিতে ফোনটিতে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৪ হাজার ১৫ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। থাকছে অটিজি, ইউএসবি টাইপ-সি, ইন-ডিসপ্লে প্রযুক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক ফিচার। ফোনটির দাম ২২ হাজার ৯৯০ টাকা।
Xiaomi Redmi Note 9S : এই বাজেটে থাকা আরেকটি স্মার্টফোন হচ্ছে Redmi Note 9S। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল। থাকছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ ডিসপ্লে প্রটেকশন।
শাওমি ফোনটিতে চিপসেট হিসেবে ব্যবহার করেছে ২.২৩ গিগাহার্টজ ক্ষমতা সম্পন্ন অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি। সাথে গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে ফোনটিতে থাকছে এড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ। ফোনটিত মিলবে ৪/৬ জিবি র্যাম ও ৬৪/১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মাইক্রো এসডি কার্ড স্লটের মাধ্যমে ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটি চলবে শাওমির নিজস্ব ইউজার ইন্টারফেস এমআইইউআই ১২ এর উপর। ছবি তোলার জন্য ফোনটির পিছনে রয়েছে ৪৮+৮+২+২ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। সেলফি তোলার জন্য সামনে থাকছে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
ব্যাকআপ সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৫ হাজার ২০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। থাকছে অটিজি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক ফিচার। ফোনটির ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের অফিশিয়াল সংস্করণের দাম ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। আর ৬/১২৮ জিবি অফিশিয়াল সংস্করণের দাম ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা ।
Samsung Galaxy M31 : স্যামসাং এর ‘এম’ সিরিজের Galaxy M31 ফোনটি ২৪ হাজার টাকার আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটিতে থাকছে ৬.৪ ইঞ্চি সুপার ওলেড ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১০৮০*২৩৪০ পিক্সেল। থাকছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩ ডিসপ্লে প্রটেকশন।
ডিভাইসটিতে থাকছে ২.৩ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর এক্সিনোস ৯৬১১ চিপসেট এবং মালি-জি৭২ এমপি৩ জিপিইউ। থাকছে ৬/৮ জিবি র্যাম ও ৬৪/১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা ডেডিকেটেড মাইক্রো এসডি কার্ড স্লটের সাহায্যে ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটি চলবে স্যামসাংয়ের নিজস্ব ইউজার ইন্টারফেস ওয়ান ইউআই ২ এর উপর। ফোনটির পিছনে থাকছে ৬৪+৮+৫+৫ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। আর সেলফি তোলার জন্য সামনে থাকছে ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
ব্যাকআপ সুবিধা দিতে স্যামসাংয়ের এই ফোনটিতে থাকছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের একটি বড় ব্যাটারি। থাকছে অটিজি, ইউএসবি টাইপ-সি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক ফিচার। ফোনটির ৬ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের অফিশিয়াল সংস্করণের দাম ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। আর ৮/১২৮ জিবি অফিশিয়াল সংস্করণের দাম ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা ।
Vivo V20 SE : এই বাজেটে থাকা আরেকটি স্মার্টফোন হচ্ছে Vivo V20 SE। স্মার্টফোন এ রয়েছে একটি ৬.৪৪ ইঞ্চি সুপার ওলেড ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে, যার রেজুলেশন ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল। অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটিতে চিপসেট হিসেবে থাকছে ২ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৬৬৫। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে থাকছে এড্রিনো ৬১০ জিপিইউ। ফোনটিতে মিলবে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা ডেডিকেটেড মাইক্রো এসডি কার্ড স্লটের মাধ্যমে আরো বাড়ানো যাবে।
ছবি তোলার জন্য ফোনটির পিছনে রয়েছে ৪৮+৮+২ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ এবং সেলফি তোলার জন্য সামনে রয়েছে এফ/২ অ্যাপার্চারের ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ব্যাকআপ সুবিধা দিতে এতে থাকছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৪ হাজার ১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। থাকছে অটিজি, ইউএসবি টাইপ-সি, ইন-ডিসপ্লে প্রযুক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক ফিচার। ডিভাইসটির দাম ২৪ হাজার ৯৯০ টাকা।
Xiaomi Poco X3 NFC : Xiaomi Poco X3 NFC স্মার্টফোনটি ২৬ হাজার টাকার আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি ১২০ হার্টজ ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল। ডিসপ্লে প্রটেকশন হিসেবে ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫। ডিভাইসটিতে মিলবে ২.২ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৭৩২জি চিপসেট এবং এড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ। ডিভাইসটিতে থাকছে ৬ জিবি র্যাম ও ৬৪/১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মাইক্রো এসডি কার্ড স্লটের মাধ্যমে আরো বাড়ানো যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটি চলবে শাওমির নিজস্ব ইউজার ইন্টারফেস এমআইইউআই ১২ এর উপর। ছবি তোলার জন্য ডিভাইসটির পিছনে রয়েছে ৬৪+১৩+২+২ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। আর সেলফি তোলার জন্য এর সামনে রয়েছে এফ/২.২ অ্যাপার্চারের ২০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ব্যাকআপ সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৫ হাজার ১৬০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। থাকছে অটিজি, ইউএসবি টাইপ-সি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক ফিচার।
ফোনটির ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের অফিশিয়াল সংস্করণের দাম ২৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। আর ৬/১২৮ জিবি সংস্করণের দাম ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।
Xiaomi Redmi Note 9 Pro : এই বাজেটে শাওমির আরেকটি স্মার্টফোন হচ্ছে Redmi Note 9 Pro। এতে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল।। থাকছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ ডিসপ্লে প্রটেকশন।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটিতে চিপসেট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ২.২৩ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে এতে রয়েছে এড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ। ফোনটিতে থাকছে ৬ জিবি র্যাম ও ৬৪/১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা ডেডিকেটেড মাইক্রো এসডি কার্ড স্লটের মাধ্যমে ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
ছবি তোলার জন্য এর পিছনে রয়েছে ৬৪+৮+২+২ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ এবং সেলফি তোলার জন্য সামনে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ব্যাকআপ সুবিধা দিতে ফোনটিতে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৫ হাজার 20 মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। থাকছে অটিজি, ইউএসবি টাইপ-সি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক ফিচার।
ফোনটির ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের অফিশিয়াল সংস্করণের দাম ২৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। আর ৬/১২৮ জিবি সংস্করণের দাম ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।
Motorola Moto G9 Plus : Motorola Moto G9 Plus ফোনটি ২৮ হাজার টাকার আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৮১ ইঞ্চি ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল। থাকছে না কোন ডিসপ্লে প্রটেকশন।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটিতে মিলবে ২.২ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৭৩০জি চিপসেট। পাশাপাশি গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে মিলবে এড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ। ফোনটিতে থাকছে ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মাইক্রো এসডি কার্ড স্লটের সাহায্যে ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। ছবি তোলার জন্য এর পিছনে রয়েছে ৬৪+৮+২+২ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। আর সেলফি তোলার জন্য ফোনটির সামনে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
ব্যাকআপ সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। থাকছে অটিজি, ইউএসবি টাইপ-সি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক ফিচার। ফোনটির দাম ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।
Realme 7 Pro : এই বাজেটে থাকা আরেকটি বেস্ট স্মার্টফোন Realme 7 Pro। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৪ ইঞ্চি সুপার ওলেড ফুল এইচডি+ ডিসপ্লে, যার রেজুলেশন ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল। ডিসপ্লে প্রটেকশন হিসেবে ফোনটির সামনে ও পিছনে ব্যবহৃত হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩+।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ফোনটিতে চিপসেট হিসেবে থাকছে ২.৩ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে থাকছে এড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ। ফোনটিতে মিলবে ৬/৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা ডেডিকেটেড মাইক্রো এসডি কার্ড স্লটের মাধ্যমে আরো বাড়ানো যাবে। ছবি তোলার জন্য ফোনটির পিছনে রয়েছে ৬৪+৮+২+২ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। আর সেলফি তোলার জন্য সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
ব্যাকআপ সুবিধা দিতে ফোনটিতে থাকছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৪ হাজার ৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। ফোনটি ১০০% চার্জ করা যাবে মাত্র ৩৪ মিনিটে। থাকছে অটিজি, ইউএসবি টাইপ-সি, ইন-ডিসপ্লে প্রযুক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক ফিচার। ফোনটির ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের অফিশিয়াল সংস্করণের দাম ২৭ হাজার ৯৯০ টাকা। এই ছিলো ৩০ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন এর একটি তালিকা। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে।