আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খ্রিস্টান ধর্মের মূল ধারা পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার এক হাজার বছর পর মিলিত হলেন রোমান ক্যাথলিক প্রধান পোপ ফ্রান্সিস (বায়ে) ও রুশ অর্থোডক্স চার্চের প্রধান কিরিল।
শুক্রবার কিউবার হাভানা বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঐতিহাসিক এক বৈঠকে তারা মিলিত হন। এ সময় পোপ ফ্রান্সিস ও রুশ অর্থোডক্সের প্রধান কিরিল কোলাকুলি ও পরস্পরকে আলিঙ্গন করেন।
বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যে হামলার মুখে থাকা খ্রিস্টানদের রক্ষার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান এই দুই প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা।
এক যৌথ ঘোষণায় তারা বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অনেক দেশেই খ্রিস্টান ভাই-বোনদের পুরো পরিবার, গ্রাম ও শহর ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তাদের গির্জাগুলো ধ্বংস ও লুট করা হয়েছে। তাদের পবিত্র বস্তুগুলোকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
সিরিয়া ও ইরাক থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্য বড় ধরনের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তারা। সেখানে ব্যাপক হারে খ্রিস্টানদের দেশান্তরী হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
ধর্মীয় দুই নেতার এ বৈঠক চলাকালে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
গেল বছর পোপ ফ্রান্সিস কিউবা সফর করেছিলেন এবং তারই মধ্যস্থতায় কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাউল।
অপরদিকে কলম্বিয়া সরকার ও বামপন্থি বিদ্রোহীদের ৫০ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসানে দুপক্ষের শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কিউবা।
এবার খ্রিস্টান ধর্মের দুই ধারার প্রধানের মিলন ঘটানোর মধ্যস্থতাও করলো দেশটি।
ক্যারিবীয় দ্বীপগুলো পরিদর্শনে যাওয়া কিরিল ও মেক্সিকো সফরে যাওয়া পোপ ফ্রান্সিসের মধ্যে এ বৈঠকের কথা এক সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিল কিউবা।
১৩ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম