আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের কিছু সৈন্য সিরিয়ার ভেতরে প্রবেশ করেছে এমন খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর তুরস্ক তা অস্বীকার করেছে। তুর্কী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমেত ইলমাজ দেশটির সংসদীয় কমিশনে বলেছেন, ‘সিরিয়ায় সৈন্য মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই তুরস্কের। এবং যেই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তার কোনো প্রকার সত্যতা নেই’। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
এর আগে সিরিয়ার পক্ষ থেকে জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিলো যে একশোর মতো তুর্কী বন্দুক ধারীকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সিরিয়ার ভেতরে পাঠানো হয়েছে। এরা তুর্কী সৈন্য হতে পারে, হতে পারে ভাড়াটে সৈন্যও, যাদের লক্ষ্য রাজধানী দামেস্কে হামলা চালানো।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বোমা বর্ষণ বন্ধ করার লক্ষ্যে তুরস্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহবান জানায় সিরিয়া। সিরিয়া বলছে, এই হামলার মধ্য দিয়ে তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তুরস্ক গত শনি ও রবিবার সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশ অভিমুখে অগ্রসরমান কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর গোলা নিক্ষেপ করেছে।
এই কুর্দিরা প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরোধী বিদ্রোহীদের কাছ থেকে এলাকা দখল করে নিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করছে তারা। তুরস্ক মনে করে যেসব কুর্দি মিলিশিয়া সিরিয়ায় যুদ্ধ করছে তারা নিষিদ্ধ-ঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী পিকেকে গোষ্ঠীর সাথে জড়িত।
কুর্দিদের জন্যে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এই গ্রুপটি গত কয়েক দশক ধরে লড়াই করছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই কুর্দিদের সহযোগিতা করে আসছে। তুরস্ক থেকে সংবাদদাতা বলছেন, কুর্দিদের ওপর তুরস্কের এই হামলা সিরিয়ার সঙ্কটকে আরো জটিল করে তুলেছে।
আরেকটি ঘটনায় তুরস্কের সামরিক বাহিনী বলছে, সীমান্তের কাছে রবিবার এক দল লোকের হামলায় তাদের একজন সৈন্য নিহত হয়েছে। ওই দলটি অবৈধভাবে তুরস্কের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলো।
তুর্কী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, সৌদি আরবের কোনো যুদ্ধবিমান এখনও তুরস্কে আসেনি। তবে তথাকাথিত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে সৌদি আরব চারটি এফ -১৬ যুদ্ধবিমান তুরস্কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই