সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০৩:৩৭

প্রতিদ্বন্দ্বি দলের মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলি, ৩৩ জনের মৃত্যু

প্রতিদ্বন্দ্বি দলের মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলি, ৩৩ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাপুয়া নিউগিনির একটি বিতর্কিত স্বর্ণ খনির দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বি উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলিতে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।

পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিং জানান, বিতর্কিত পোরগেরা স্বর্ণ খনিকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। কয়েক দফা গুলির ঘটনায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সংঘাত বন্ধ করতে পুলিশকে জরুরি ক্ষমতা দেয়া হয়। এ সময় তারা বিশেষ অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলেও জানান কমিশনার। এছাড়া খনি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, গত আগস্ট মাস থেকেই এই পোরগেরা সোনার খনিতে বড় দ্বন্দ্বের শুরু। এলাকাটি আগে থেকেই পিয়ান্দে গোষ্ঠীর দখলে ছিল। কিন্তু গত আগস্টে পিয়ান্দের মালিকানাধীন জমিতে সাকার উপজাতিদের বসতি গড়ে তোলার পর থেকেই দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। 

পুলিশ জানায়, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। শুধু রোববারই দুই গ্রুপের মধ্যে ৩০০টির বেশির গুলি বিনিময় হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

পুলিশ কমিশনার জানান, এখানকার অবৈধ খনি শ্রমিক এবং বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সহিংসতা স্থানীয় সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কে দিয়েছে। 

এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লড়াই তীব্র হওয়ার কারণে কানাডার মালিকানাধীন খনিটি অল্প সময়ের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। এটি পাপুয়া নিউ গিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম খনি।

এছাড়া এই অঞ্চলের স্কুল, হাসপাতাল এবং সরকারি অফিস আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২০২২ সালে খনির কাছে বসবাসকারী প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছিল। এর আগে পোপ ফ্রান্সিস এই মাসের শুরুতে একটি সফরে এসে পাপুয়া নিউ গিনিকে সহিংসতার পথ পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে