আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামরিক শক্তির দিক দিয়ে বিশ্বে ১ নম্বরে কি যুক্তরাষ্ট্র? এই প্রশ্নই রাখা হয়েছিল দেশটির জনগণের কাছ। এর উত্তর খুজতে একটি জনমত জরিপও পরিচালনা করা হয়। যাতে দেখা যায়, মার্কিন সরকারের দাবি 'হ্যা' অর্থাৎ সমরশক্তিতে তারাই বিশ্বে শীর্ষে। কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ দেশটির জনগণ। তারা বলছে 'না'
সামরিক বাহিনী বিশ্বে শীর্ষ সামরিক শক্তি কিনা তা নিয়ে গত এক দশকের মধ্যে এবারই প্রথম আমেরিকানদের মাঝে সবচেয়ে বেশি বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
গ্যালাপ পোল এর প্রতিবেদন অনুযায়ী যে সকল আমেরিকানরা বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ পরাশক্তি নয় তাদের শতকরা হার হচ্ছে ৪৯ শতাংশ। যা গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ হার গত বছর ছিল ৩৮ শতাংশ। এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদেরকে আমেরিকা ছাড়া কোন দেশগুলো সামরিক শক্তিতে সেরা তা জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
একজন মার্কিন মুখপাত্র বলেছেন, ২৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ম ৪৯ শতাংশে নেমে আসলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বে শীর্ষ সামরিক শক্তি। গত বছরের ৫৯ শতাংশ থেকে তা ১০ শতাংশ কমেছে।
মার্কিনিদের দৃষ্টিতে এই চরম পতনের পরেও সামরিক বাহিনীর প্রথমশ্রেণীর মধ্যে থাকাটা অন্য সময়ের চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যাদের মাঝে জরিপ করা হয়েছে তাদের শতকরা ৬৭ শতাংশ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বে ১ নম্বর থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।
যাইহোক, ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারির পর এবারই প্রথম জরিপে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ মার্কিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামরিক খাতে অনেক কম ব্যয় করেছে। জরিপের ৩৭ শতাংশ মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র খুব কম ব্যয় করেছে, ৩২ শতাংশ মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র খুব বেশি ব্যয় করেছে এবং ২৭ শতাংশের মতে এ ব্যয় পর্যাপ্ত পরিমাণ হয়েছে।
রিপাবলিকানদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ বলছেন দেশ সামরিক খাতে অনেক কম ব্যয় করেছে, ডেমোক্রেটরা ২০ শতাংশ মনে করেন এ ব্যয় কম হয়েছে। বাকি ২৭ শতাংশ নিরপেক্ষ মত দিয়েছেন। বেশিরভাগ ডেমোক্রেট ও নিরপেক্ষদের মতে যুক্তরাষ্ট্র অনেক বেশি ব্যয় করেছে সামরিক খাতে।
গ্যালাপ পোল যুক্তরাষ্ট্রের ১০২১ জন প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে ফোনের মাধ্যমে এই জরিপ চালিয়েছে। এই পোলের ভুল তথ্যের সংখ্যা শতকরা ৪ শতাংশ।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস