আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক নজিরবিহীন ঘটনা, যা শুনলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। কথায় আছে, রাখে আল্লাহ, মারে কে? এমন ঘটনা ঘটেছে মাঝবয়সী এক নারীর ক্ষেত্রে।
জানা গেছে, মৃত ভেবে ওই নারীকে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চলছিল দাফনের প্রস্তুতি। এর আগে গোসল করাতে নিলে জেগে ওঠেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার পাকিস্তানে।
অনলাইন ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৫ বছরের মানজুরাকে তার পরিবারের সদস্যরা ‘মৃত অবস্থায়’ সোহরাব গোথ এলাকায় এধি ফাউন্ডেশনের মর্গে নিয়ে যান। দাফনের খরচ বহন করার সামর্থ্য না থাকায় পরিবারটি মানজুরাকে এধি ফাউন্ডেশনে নিয়ে যান। সংস্থাটি দরিদ্র পরিবারের লাশ দাফন করে থাকে।
এতে বলা হয়, দাফনের আগে গোসল করানোর জন্য এধি মর্গের এক নারী স্বেচ্ছাসেবককে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি লক্ষ্য করেন, তখনও মানজুরার শ্বাস-প্রশ্বাস চালু আছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই স্বেচ্ছাসেবক মানজুরার স্বজনদের বিষয়টি অবহিত করেন। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পরিবর্তে মানজুরার জোরাজুরিতে বাড়িতে নিয়ে যান।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানজুরার স্বামী বশির একটি পোলট্রি ফার্মে কাজ করেন। তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকে তার স্ত্রী অসুস্থ বোধ করছিলেন। আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি।
অগত্যা ফার্মেসিতে গিয়ে স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণগুলো বলে কিছু ওষুধ নিয়ে আসেন। রাত ৩ টার দিকে তার অবস্থার আরো অবনতি হয়। বশির তখন স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার কর্মস্থলের সুপারভাইজারের সাহায্য চান। কিন্তু তার শয্যাশায়ী স্ত্রী তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে সবাইকে কলেমা পড়তে বলেন।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানজুরা ভেবেছিলেন তিনি আর বাঁচবেন না। এর কিছুক্ষণ পরই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। মানজুরার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বশির ও তার পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন তিনি মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে মানজুরা একবার স্ট্রোক করেছিলেন। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সে যাত্রায় মানজুরাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মর্গে নিয়ে যান। পরে এধি ফাউন্ডেশনের নারী স্বেচ্ছাসেবকের কাছ থেকে স্ত্রী জীবিত আছে জানতে পেরে আনন্দে ফেটে পড়েন বশির। উচ্ছ্বসিত বশির বলছিলেন, এটা সর্বশক্তিমান আল্লাহর অশেষ কৃপা।
২২ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম