আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আইফোন, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিরিজ ও গুগল পিক্সেলের মতো হাই-এন্ড ফোনগুলো বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরই ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকেরই স্বপ্ন থাকে উচ্চ সক্ষমতার এমন একটি ফোন কেনার। সাধ আর সাধ্য যখন পরস্পরের মুখোমুখি, তখন ভরসা কেবলই পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন। আইফোন
পুরাতন ফোনের বাজারে হাই-এন্ড স্মার্টফোনগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। এছাড়া পুরাতন হলেও এগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। এদিকে আবার এমন ব্যবহারকারী আছেন যারা প্রায় প্রতি বছরই ফোনের মডেল পরিবর্তন করেন। ফলে আগের ফোনটি বিক্রি করে কিনে নেন নতুন একটি স্মার্টফোন। আর সে কারণেই পুরাতন ফোনের বাজারে চাহিদা ও যোগানের ঘাটতি থাকে না কখনোই।
পুরাতন ফোন কেনার ক্ষেত্রে অপশন আছে দুটি। একটি হচ্ছে রিফারবিশড ফোন, অন্যটি হলো সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন। ‘রিফারবিশড’ ও ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ ফোনের মধ্যে কী পার্থক্য, চলুন সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
আইফোনের মতো উচ্চ মানের (হাই এন্ড) ফোনের রিসেল ভ্যালু বা পুনর্বিক্রয় মূল্য বেশ ভালো। কেননা পুরাতন হলেও এগুলোর বেশ ভালো চাহিদা থাকে বাজারে। অবশ্যই এর একটি কারণ এই যে, ফোনগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। পাশাপাশি এগুলো দীর্ঘদিন টেকসইও হয়ে থাকে। ফলে হাই-এন্ড স্মার্টফোনের দ্বিতীয় ক্রেতাও সাধারণত অনেকদিন ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারেন।
বাজারে উচ্চ মানের, দামী ফোন কম দামে কেনার দুটি অপশন রয়েছে। একটি হচ্ছে ‘রিফারবিশড’ বা ‘ফ্যাক্টরি রিফারবিশড’ ভার্সন, অন্যটি হচ্ছে পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন। ‘রিফারবিশড’ ফোন হচ্ছে সেই ফোন যেটা ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যে কোনো ত্রুটির কারণে প্রথম ব্যবহারকারী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দিয়েছেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোনের সেই ত্রুটি সারিয়ে পর্যাপ্ত পরীক্ষানিরীক্ষা-পূর্বক ‘রিফারবিশড’ ট্যাগ লাগিয়ে আগের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে ফোনটি বিক্রির জন্য অফার করেন।
অনেক সময় ‘পুরাতন ফোন দিয়ে নতুন ফোন নিন’-এর মতো অফারগুলোর মাধ্যমেও পুরাতন ফোন পাওয়া যায়, যেগুলো পরবর্তীতে পরীক্ষানিরীক্ষা করে ‘রিফারবিশড’ ট্যাগ দিয়ে বিক্রি করা হয় অনলাইন ও ফিজিক্যাল স্টোরে। মোট কথা হচ্ছে, রিফারবিশড ফোনগুলো বিক্রির জন্য অফার করার আগে ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং নিশ্চিত করা হয় যে এগুলোর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সচল রয়েছে। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, ক্যাশিফাই-এর মতো জনপ্রিয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে ‘রিফারবিশড’ ডিভাইসের জন্য আলাদে করে বিভাগ বা সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে।
পুরাতন ফোন কেনার আরেকটি অপশন হচ্ছে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনের বাজার। সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনের উৎস অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে কাছের-দূরের মানুষের কাছ থেকে কিনতে পারেন পুরাতন ফোন। আবার কনজ্যুমার টু কনজ্যুমার (সি-টু-সি) পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আছে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম- যার মধ্যে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস বেশ জনপ্রিয়। তবে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বা মার্কেটপ্লেস ফোনটির ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে তবেই ফোনটিকে বিক্রির জন্য অফার করে থাকে। কিন্তু সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনের ক্ষেত্রে এমনটা করার সুযোগ নেই। প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষা এক্ষেত্রে নিজেকেই করে নিতে হয়।