আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে যে কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে কোমল পানীয় পান করা অত্যাবশ্যকীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃষ্ণা মেটাতে এক চুমুক কোমল পানীয়তে অনেকেই স্বস্তি খোঁজেন। অথচ এর না আছে পুষ্টিগুণ আর না আছে পানিশূন্যতা দূরীকরণের ক্ষমতা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, কোমল পানীয়ে রয়েছে ইথিলিন গ্লাইকল, কৃত্রিম রঙ, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফসফরিক এসিড, বেশি মাত্রার ক্যাফেইন, ঘনচিনি, অপিয়েট ও সিলডেনাফিল সাইট্রেট-এর মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।
এসব দিক থেকে বিবেচনা করে স্বাস্থ্যসচেতন কোমল পানীয় প্রেমীদের জন্য সৌদি আরবে বাজারে এল খেজুরের তৈরি কোমল পানীয় মিলাফ কোলা। এতে প্রচলিত কোমল পানীয় তৈরিতে ব্যবহৃত ফসফরিক এসিড, ক্যাফেইন, কার্বন-ডাই অক্সাইড, কৃত্রিম চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় খেজুর। প্রাকৃতিক সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত খেজুর দিয়ে তৈরি মিলাফ কোলাতে স্বাদ ও পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি।
সম্প্রতি রিয়াদ ডেট ফেস্টিভ্যালে এই পানীয়টির উদ্বোধন করেন সৌদি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রহমান আল–ফাদলি ও থুরাথ আল–মদিনা কোম্পানির সিইও বান্দার আল–কাহতানি।
সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) সহযোগী প্রতিষ্ঠান থুরাথ আল–মদিনা মিলাফ কোলার উৎপাদক। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলাফল এই মিলাফ কোলা। আন্তর্জাতিক খাদ্যনিরাপত্তা এবং গুণগত মান বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে এটি। স্বাদ ও পুষ্টির দিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ও বিশ্ববাজারে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পাবে বলে আশা করছেন তারা।
মিলাফ কোলার উৎপাদক প্রতিষ্ঠান আরও জানায়, সৌদি আরবে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা উচ্চমানের খেজুর দিয়ে এই কোমল পানীয়টি তৈরি করা হয়েছে। প্রচলিত কোমল পানীয়ের চেয়ে এটি অনেক স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।
সৌদি আরবের পরিবেশবান্ধব এবং স্থানীয় পণ্য প্রচারের ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মিলাফ কোলার মতো খেজুরের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পণ্য উদ্ভাবনে কাজ করে থুরাথ আল–মদিনা।
কোম্পানির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে খেজুরের তৈরি আরও পণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনা করছি। মিলাফ কোলা তো কেবল শুরু। আমরা এমন একাধিক পণ্য নিয়ে কাজ করছি, যা বিশ্বব্যাপী খেজুর ব্যবহারের পদ্ধতিকে বদলে দেবে।’
পরিবেশবান্ধব টেকসই উৎপাদন এবং সৌদি আরবের শিল্পকে বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা। খেজুরের তৈরি নতুন আরও পণ্য নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। রিয়াদ ডেট ফেস্টিভ্যালে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই পানীয়।