আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেখ মোহাম্মদ আলী ওমরের (৪৪) ওজন ৪২০ কেজি। মালয়েশিয়ান এই ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তাকে দাফন করতে রীতিমতো দমকলবাহিনীকে খবর দিয়েছে এলাকাবাসী। গ্রামবাসীসহ ২০ জন দমকলকর্মীর সহায়তায় তাকে দাফন করা হয়। স্থানীয় সময় গত রবিবার বিকেলে তিনি মারা যান। ওজনের কারণে তার পরিবার দাফন করতে হিমশিম খাচ্ছিল। এরপরই তারা দমকলকর্মীদের খবর দেন।
নিউ স্ট্রেইটস টাইমস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়ি থেকে কবরস্থানে লাশ নিয়ে দাফনের জন্য একটি পাঁচ টন ওজনের লরির প্রয়োজন পড়েছিল।
শারীরিক স্থুলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে পারেননি শেখ ওমর।
রবিবার সকালের দিকে নিজের ঘরের টয়লেটের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়লে অবস্থার আরো অবনতি হয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম না হওয়ায় দমকলবাহিনীর সহযোগিতা নেন ওমরের পরিবার। তবে অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই বিকেলে মারা যান ওমর।
কেলান্টান ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের অপারেশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াইল্ডান আজহারী ব্যাখ্যা করেছেন, কর্মীরা শরীরের ওজনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে একসঙ্গে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকের সহায়তায় দাফন সম্পন্ন করতে পেরে কৃতজ্ঞ। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা স্থানীয় বাসিন্দা এবং গ্রামের প্রধানের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সাহায্য পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘লাশ কবরস্থানে আনার জন্য ২০ জন কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন। দাফনের জন্য সাহায্যের আবেদন করেছিলেন নিহতের পরিবার। এরপর কেলানতান ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের দমকল কর্মীরা পরিবারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে পাঁচ টন ওজনের একটি লরি, হাইলাক্স, ট্রাইটন, ইএমআরএস নিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর রাত সাড়ে ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ২০ জন দমকলকর্মী ও স্থানীয় ১০০ জন গ্রামবাসীর সহায়তা শেখ মোহাম্মদ আলি ওমরের মরদেহ দাফন করা হয়। দাফনের কাজ শুরু হয়েছিল রাত ১০টা ৩০ মিনিটে। সূত্র : মালয় মেইল