সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০২:৫৭:৪৭

ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মোদি!

ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মোদি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার নতুন করে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘একজন চা-ওয়ালা কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেল, তা ওঁদের হজম হচ্ছে না।’

কয়েকটি ‘হতাশ’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং কালোবাজারের কারবারিদের বিরুদ্ধে এই অভযোগ আনলেন তিনি। মোদির দাবি, সরকারের স্থায়িত্ব নষ্টের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এজন্যই তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসাও ওই ষড়যন্ত্রেরই অঙ্গ। তবে চক্রান্ত করে তাঁকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করা যাবে না।

ওড়িশায় সোমবার কৃষকদের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সম্প্রতি দেখেছেন, কয়েকজন সবসময় আমার সমালোচনা করছেন। মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছে, তা তাঁরা সহ্য করতে পারছেন না! একজন চা-ওয়ালা কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেল, তা ওঁদের হজম হচ্ছে না।’

কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম না জানালেও মোদি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কয়েকটি সিদ্ধান্ত কিছু সংস্থা এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে গিয়েছে বলেই তাঁকে বিরোধিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র কিছু সারে নিম মেশানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে যে সব সংস্থা কৃষকদের লুট করছিল, তারা মোদীর উপর ক্ষুব্ধ হবে না? তারা তো মোদী-বিরোধীদের সমর্থন করবেই! তারা মোদীর বিরুদ্ধে চিৎকার করবে না!’
 
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোদি বলেন, বিদেশ থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অর্থ সাহায্য পায়। সরকার এবার সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেবে। যখনই আমরা টাকার হিসাব চাই, তখনই স্লোগান ওঠে— মোদীকে মারো! দেশ জানতে চায়, ওই টাকা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে তা খরচ হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রী কারও নাম না করলেও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির পাশাপাশি তাঁর লক্ষ্য ছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরাও। আগামী পরশু থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। সংসদে দলের কৌশল ঠিক করতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আগামিকাল বৈঠকে বসার কথা। অধিবেশন মসৃণ করতে আগামিকালই সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এম বেঙ্কাইয়া নায়ডু। পরশু থেকেই শুরু বাজেট অধিবেশন।

২৯ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাধারণ বাজেট পেশ করবেন। তার আগে ২৫ তারিখ রেল বাজেট। এবারের অধিবেশনে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ঘিরে বিতর্কের পাশাপাশি হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিত ছাত্র ভেমুলা রোহিত চক্রবর্তীর আত্মহত্যা, অরুণাচলপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন, পঠানকোট হামলা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে তৈরি হচ্ছে বিরোধীরা।

বিরোধীদের হট্টগোলে গত দু’টি অধিবেশনের অনেকটাই নষ্ট হওয়ায় লোকসভায় পাঁচটি এবং রাজ্যসভায় অন্তত ১১টি বিল আটকে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি), আবাসন, লোকপালের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল। বাজেট অধিবেশনে জিএসটি বিল পাশ করানো না গেলে আগামী অর্থবর্ষে তা চালু করতে বিপাকে পড়বে সরকার।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে