আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘বাপু’ মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন সংগীতশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য। যেখানে তিনি ভারতের এই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে উল্লেখ করলেন ‘পাকিস্তানের জনক’ বলে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এক পডকাস্টে গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেছেন, ভারতের নয়, পাকিস্তানের জনক মহাত্মা গান্ধী।
সাংবাদিক শুভঙ্কর মিশ্রের সঙ্গে তার পডকাস্টে কিংবদন্তি সুরকার আরডি বর্মণ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, পঞ্চম দা (আর ডি বর্মণ) মহাত্মা গান্ধীর চেয়ে বড় ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী যেমন জাতির জনক ছিলেন, তেমনি পঞ্চম দা ছিলেন সংগীত জগতে জাতির জনক।
এ সংগীতশিল্পী আরও বলেন, পঞ্চম দা মহাত্মা গান্ধীর চেয়ে বড় ছিলেন। তিনি ছিলেন সংগীতের রাষ্ট্রপিতা। আর মহাত্মা গান্ধী পাকিস্তানের জাতির পিতা ছিলেন, ভারতের নয়। ভারত সবসময়ই ছিল। পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে। ভুল করে মহাত্মা গান্ধীকে আমাদের জাতির জনক বলি।
অভিজিৎ ভট্টাচার্য কিংবদন্তি সংগীত রচয়িতা আরডি বর্মণের মাধ্যমে হিন্দি সংগীত জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তবে দুজনের প্রথম আলাপ একটি বাংলা সিনেমায় কাজ করার সময়। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে আর ডি বর্মণের সঙ্গে গায়ক হিসাবে স্টেজ শোতে পারফর্ম করতেন অভিজিৎ। পরে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, বিজয় আনন্দ, আমির খান, শাহরুখ খান, সালমান খান, সাইফ আলি খান, সানি দেওল, সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দা, অক্ষয় খান্না, অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি, অজয় দেবগনসহ অসংখ্য বলিউড অভিনেতার জন্য গেয়েছেন।
১৯৯২ সালে অভিজিতের প্রথম সাফল্য আসে হিট সিনেমা খিলাড়ির মাধ্যমে, যেখানে তিনি যতীন-ললিত রচিত ওয়াদা রাহা সনম, খুদ কো কেয়া সমঝতি হ্যায় এবং কেয়া খবর থি জানাবের মতো স্মরণীয় গান গেয়েছিলেন। সেই থেকে একের পর এক হিট দিয়ে গান গেয়েছেন। যদিও এখন তার বাজার মন্দা। সেভাবে প্লেব্যাকের সুযোগ আসে না বলিউড থেকে, যা নিয়ে প্রায়শই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
একই পডকাস্টে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান প্রসঙ্গে অভিজিত বলেন ‘শাহরুখ খানের ক্লাস আলাদা।’ আর সালমানকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিজিৎ বলেন, সালমান খান এখনো সেই পর্যায়ে পড়েই না, যাকে নিয়ে চর্চা করব। দয়া করে টপিক বদলান।
ফুটপাতে পথচারীদের ওপর সালমানের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রসঙ্গ টেনে সুপারস্টারকে 'দারুবাজ', 'ঠরকি' বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। তার দাবি, কেউ সালমানের সঙ্গে কাজ করতে চান না। সালমানই গিয়ে সবার থেকে কাজ চাইতে থাকেন। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস