আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানিতে আসা শরণার্থীদের জন্য পূর্বাঞ্চলীয় বাউটজেন শহরে একটি বাসভবন তৈরির সময় তাতে আগুন লেগে গেলে সেখানে জড়ো হওয়া লোকজন হর্ষধ্বনি করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভবনটিতে আগে একটি হোটেল ছিল - যাকে সংস্কার করে একে শরণার্থীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করার কাজ চলছিল। সে সময়ই রোববার ভোরে ভবনটিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
পুলিশ বলছে, তখন সেখানে জড়ো হওয়া লোকেরা উল্লাস করে, এবং অনেকে আগুন নেভানোর কাজে বাধা দেবারও চেষ্টা করে। উল্লাসকারীরা তাদের আনন্দ গোপন করার কোন চেষ্টাই করেনি বলে জানায় পুলিশ। তারা আরো জানায়, তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়, আর দুজন তরুণকে গ্রেফতার করা হয়।
আগুনে ভবনটির ছাদ পুড়ে গেছে। শহরের কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে যে ভবনটিতে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ জানায়, তারা তদন্তে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছেন।
স্যাক্সনির মুখ্যমন্ত্রী স্তানিস্লাভ টিলিশ ওই লোকদের 'অপরাধী' বলে বর্ণনা করে বলেছেন, এটা খুবই দু:খজনক ঘটনা। অগ্নিকান্ডে উল্লাস প্রকাশের ঘটনা এমন জায়গায় ঘটেছে যেখানে কদিন আগেই একদল লোক শরণার্থী বহনকারী একটি বাসের পথরোধ করেছিল।
সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার নানা দেশ থেকে জার্মানিতে আসা ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছে। তাদের ব্যাপারে সাধারণভাবে জনগণের মনোভাব 'ইতিবাচক', তবে একে 'জার্মান সংস্কৃতির প্রতি হুমকি' বলে মনে করে এমন লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছে, বলছেন বিশ্লেষকরা।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই