আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পারিবারিক বিষয়াদি নিয়েই ঝগড়া হয়েছিল এক দম্পতির। এরই জেরে আত্মহত্যা করেন স্বামী। আর এই খবর শুনে নিজেকে শেষ করে দিলেন স্ত্রীও। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে আত্মহত্যা করে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আর তার স্ত্রী ছিলেন দিল্লিতে এবং তার সাথে ঝগড়া করার পর স্বামী আত্মহত্যা করেন।
এদিকে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে ওই নারী নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃত এই দম্পতির এক বছর বয়সী মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, মৃত ওই স্বামীর নাম বিজয় প্রতাপ চৌহান (৩২) এবং তার স্ত্রীর নাম শিবানী (২৮)। গাজিয়াবাদের লনি বর্ডার এলাকায় তারা বসবাস করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই দম্পতি মাঝে-মধ্যেই দাম্পত্য কলহে লিপ্ত হতেন।
গাজিয়াবাদের জওহর নগরের জি ব্লকে বসবাসকারী বিজয় এবং শিবানীর মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় তুমুল ঝগড়া হয়। কলহের পর শিবানী তাদের বাড়ি ছেড়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে চলে যান। শিবানী বাড়ি চলে যাওয়ার পর বিজয় তাকে ফোনে কল করেন এবং সেই সময় তার স্ত্রীকে তিনি বলেন, সে আর কখনোই তাকে দেখতে পাবে না।
কিছুক্ষণ পরে বিজয়ের খালা মীরা তাদের বাড়িতে যান এবং বিজয়ের মৃতদেহ দেখতে পান। মূলত তার খালা আসার আগেই তিনি ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের খালা ঘটনাটি শিবানীকে জানান। খবর শুনে, শিবানী তাদের বাসভবন থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্ব দিল্লির লোনি গোলচত্বরের কাছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
এনডিটিভি বলছে, গাজিয়াবাদ পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশ ঘটনার সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। একটি ফরেনসিক দল দুটি জায়গাই পরীক্ষা করেছে।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে, শিবানীর শরীরে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চিহ্নগুলো ছাড়া শরীরে আর কোনও বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন নেই।