মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:০৩:১৪

ভয়াবহ আগুন লস অ্যাঞ্জেলেসে! স্যাটেলাইট থেকে যে প্রমাণ পাওয়া গেছে

ভয়াবহ আগুন লস অ্যাঞ্জেলেসে! স্যাটেলাইট থেকে যে প্রমাণ পাওয়া গেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালিসেডস অঞ্চলের ভয়াবহ দাবানলের সূত্রপাত নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। শুরুতে বলা হয়, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যবহৃত আতশবাজি থেকে আগুন ধরে। তবে, তা নেভানোর কয়েকদিন পর নতুন করে এই আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে আতশবাজি থেকে শুরু হওয়া আগুনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালিসেডস এলাকার কয়েক একর জমি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই আগুন নেভাতে হেলিকপ্টারের সাহায্যে ব্যাপক চেষ্টা চালানো হয়। সেসময় পাহাড়ি এলাকায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ধারণা করা হয়। তবে, সপ্তাহ খানেক পর আবারো একই এলাকায় ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

এই দাবানলের মূল কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরনো আগুনের ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন পুনরায় জ্বলে ওঠতে পারে। নিউ ইয়ারের সময় আগুন যেখানে লেগেছিল, নতুন আগুন তার কাছাকাছি স্থান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে স্যাটেলাইট চিত্র থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাতাসের গতিবেগ বাড়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

গেল মঙ্গলবার আগুনের সূত্রপাতের পর লস অ্যাঞ্জেলেসে ছয়টি দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। এখনো সক্রিয় রয়েছে তিনটি। এর মধ্যে শহরের পশ্চিম অংশে প্যালিসেইডস ও পূর্বে এটন দাবানলের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি। এই দুই দাবানল সামান্যই নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। ভয়াবহ প্যালিসেইডস দাবানল মাত্র ১৩ শতাংশ এবং এটন দাবানল নিয়ন্ত্রণে এসেছে ২৭ শতাংশ।

বাতাসের গতি কিছুটা কম থাকায় বেশ কিছু জায়গা জুড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিল সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বাতাসের গতি আবার বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। স্থানীয় মরুভূমি থেকে সৃষ্টি হওয়া এই বাতাস আগামী বুধবার পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেসের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১১২ কিলোমিটার গতিতে বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

এদিকে আগুন নেভানোর কাজে এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার আশপাশের সাত অঙ্গরাজ্য থেকে ছুটে এসেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ কানাডা ও মেক্সিকোও। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বলছে, প্রয়োজন হলে আগুন নেভানোর কাজে মোতায়েন করা হবে সেনাসদস্যদেরও।

চলমান দাবানলে এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। শহর জুড়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকল বাহিনীর সময়মতো প্রতিক্রিয়া ছিল না। আগুন নেভানোর পরেও পর্যবেক্ষণের ঘাটতি থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন তারা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে