আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বড়দিনের সময় যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল লটারির টিকিট কিনে ১২০ পাউন্ড (প্রায় ১৮ হাজার টাকা) জিতেছিলেন জেমস ক্লার্কসন। সেই অর্থ অন্য কাজে ব্যয় না করে তিনি আবারও নিজের ভাগ্য পরখ করে দেখার সিদ্ধান্ত নেন।
সে অনুযায়ী ন্যাশনাল লটারির আরও কয়েকটি টিকিট কেনেন ২০ বছরের এই তরুণ। এতে ‘ভাগ্য’ খুলে যায় তাঁর; জিতে যান ৭৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩২৯ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১২ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা)।
কার্লাইলের বাসিন্দা ক্লার্কসন একজন শিক্ষানবিশ গ্যাস ইঞ্জিনিয়ার। পাশাপাশি নর্দমা পরিষ্কারের কাজ করেন তিনি। দ্য মেট্রোকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার বান্ধবীর বাড়িতে ছিলাম। তুষারপাতের কী অবস্থা, তা দেখতে সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোনে এটি খুদে বার্তা দেখতে পাই। সেখানে লেখা ছিল আমি ন্যাশনাল লটারি জিতেছি। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ভেবেছিলাম স্বপ্ন দেখছি। তখন মাত্র সাড়ে সাতটা বাজে, সবাই ঘুমাচ্ছি। আমি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না, তাই বাবাকে ফোন দিলাম। আমি জানতাম তিনি জেগে আছেন। তিনি শান্তভাবে আমাকে বাড়িতে চলে আসতে বললেন।’
বাড়িতে ফিরে বাবা, মা ও ভাইয়ের সামনে দুরুদুরু বুকে ন্যাশনাল লটারি কর্তৃপক্ষকে ফোন দেন ক্লার্কসন। তখন সকাল নয়টা, সবেমাত্র ন্যাশনাল লটারির কার্যালয় খুলেছে। তিনি বলেন, ‘তারা প্রথমেই আমাকে লটারি জয়ের খবর নিশ্চিত করে। আমি সম্ভবত হাসতে শুরু করেছিলাম। পাগলামি মনে হয়েছিল। পুরো দিনটি আমি পরিবার এবং আমার মেয়েবন্ধুর সঙ্গে কাটিয়েছি। আমরা সবাই কাছাকাছিই থাকি, সবাই লটারি জয় নিয়েই কথা বলেছি। দ্রুত এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। দিন শেষে দাদা-দাদির বাড়িতে আমরা এ জয় উদ্যাপন করি।’
রাতারাতি ধনী হয়ে গেলেও ক্লার্কসনের পা মাটিতেই আছে। পরদিন সোমবার সকালে তিনি যথারীতি নিজের কাজে যান। তিনি বলেন, ‘লটারি জয়ের পরের দিন ঠান্ডার মধ্যে আমি নর্দমা পরিষ্কার করতে যাই। খানিকটা উদ্ভট শোনালেও এটাই বাস্তবতা। আমি কাজ করা বন্ধ করছি না। আমার বয়স এখনো অনেক কম।’ কাজের মধ্য দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চান ক্লার্কসন।