আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শূন্যরেখার কাছাকাছি কাঁটাতারের বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের উত্তেজনা না কাটতেই এবার লাদাখ ইস্যুতে চীনের সাথেও শুরু হয়েছে উত্তেজনা।
একদিকে সীমান্ত ইস্যু অন্যদিকে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। গেল ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াকে কেন্দ্র করেও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে দেখা দেয় টানাপোড়েন।
একদিকে বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্কে জোর দিচ্ছে চীন অন্যদিকে ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক ঘাঁটি থাকার বিষয়টিও ভাবাচ্ছে ভারতকে।তাছাড়া ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে চলমান সংকটে সেখানে দেখা দিয়েছে, নতুন করে জন্ম হতে পারে আরেকটি রাষ্ট্র।এর কোনটাই এখন পর্যন্ত সমাধান দিতে পারেননি মোদী সরকার।
তাছাড়া স্মরণকালের ভারতীয় রূপির দরপতন দেশটিকে ভাবাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি মোদি সরকার কতটুকু সামাল দিতে পারবে।অন্যদিকে ধর্মীয় এবং সাম্প্রতিক ইস্যুতে মণিপুর সহিংসতার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি চলমান রয়েছে দেশটিতে।যেগুলো সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মোদী সরকার।
অন্যদিকে উগ্র হিন্দুত্ববাদকে প্রাধান্য দিচ্ছে মোদী সরকার।যা বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর ক্ষোভের সঞ্চার করছে।সর্বশেষ ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় বিতর্কিত রামমন্দির স্থাপন করেও নির্বাচনে তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি মোদী সরকার।
কানাডায় গেল কদিন আগেই শিখ নাগরিক হত্যার তীর ছুটে মোদী সরকারের দিকেই।ধারণা করা হয় স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জেরেই হত্যা করা হয় শিখ নাগরিককে।
অন্যদিকে গেল সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে টানা দুইবারের বিতর্কিত নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ ছিল ভারতের বলছেন মানুষ।বিবিসির এক প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে বলা হয়েছিল,বস্তুত বিরোধী দল বিএনপি-র একজন শীর্ষ নেতা তো প্রকাশ্যে এমনও অভিযোগ করেছেন যে “দিল্লিই আসলে বাংলাদেশের নাগরিকদের (গণতান্ত্রিক) ভাগ্য ছিনিয়ে নিয়েছে।”
পরপর দুটো প্রশ্নবিদ্ধ সংসদীয় নির্বাচন করেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার যে একটানা পনেরো বছর ধরে ক্ষমতায় আছে, সেটাও ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা ছাড়া কিছুতেই সম্ভব হত না বলে বাংলাদেশে অনেকেই বিশ্বাস করেন। প্রকাশ্যে তারা সে কথা বলেনও বলে সেসময় জানিয়েছিল বিবিসি।
মূলত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতেই ভারতের এতসব চেষ্টা ছিল সেসময়।এমনকি এখনো ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে তারই প্রমাণ করে যাচ্ছে বলে অনেক বিশ্লেষকসহ মানুষ মনে করছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন এত চতুর্মুখী চাপ নিয়ে টিকতে পারবেতো মোদী সরকার?গেল কদিন আগেই হোয়াটসআ্যপে মোদীকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়।যেটাকে পরে ভারত দাবি করে মামলুক হুমকি।তো এত কিছুর পরে এখন একটাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এত কিছুর পরে কি টিকে থাকতে পারবেতো মোদী সরকার?
নেটিজেনরা শেখ হাসিনার পতনের আগেও রির্জাভ তলানিতে এসে ঠেকেছিল বাংলাদেশের, একইভাবে ভারতের মুদ্রার মূল্য কমে যাওয়াও তার লক্ষণ বলে মনে করছেন তাঁরা।মানুষ বলছেন, শেখ হাসিনার গদি টিকাতে গিয়ে এখন নিজের গদি টিকাকেই মরিয়া মোদী।