আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে উঠে বিমানের করিডোরে কর্মী এবং যাত্রীদের সামনে প্রস্রাব করলেন এক যাত্রী। তাও আবার সেই যাত্রীটি ছোট কোনো বাচ্চার নয়। তিনি এক ছেলের বাবা এবং তার বয়স ৩৯ বছর। শুনতে আশ্চর্য হলেও এমনটাই ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে। তবে ওই যাত্রীটি কোনো ভারতীয় নয়, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এই অস্বাভাবিক কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন এক ব্রিটিশ ব্যক্তি।
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম জিনু আব্রাহাম। নর্থফিল্ডের হোলো ক্রোফ্টের বাসিন্দা জিনু বিমান কর্মী এবং যাত্রীদের সামনেই প্যান্ট খুলে বিমানের করিডরে বসে প্রস্রাব করেন। সমস্যায় পড়েন অন্যান্য যাত্রীরা। তবে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ছাড় পাননি জিনু। বিমানের করিডরে প্রস্রাব করার অপরাধে প্রায় লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে তাকে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি এই ঘটনাটি ঘটলেও আজ মঙ্গলবারই তা প্রকাশ পেয়েছে। ঠিক কি ঘটেছিল? এর জবাবে এয়ার ইন্ডিয়ার আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, গত ১৯ জানুয়ারি অচেতন অবস্থায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠেছিলেন জিনু আব্রাহাম। জিনুর সঙ্গে তার ১০ বছরের ছেলেও ছিল। বিমানটি ভূ-পৃষ্ঠ ছাড়ার পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন জিনু। নিজের আসন ছেড়ে বিমানের ভিতরে এদিক-ওদিক ঘুরতেও শুরু করেন। বিমান কর্মী তাকে সিটবেল্ট বেঁধে বসার অনুরোধ করলেও তা কানে তোলেননি জিনু। উল্টে বিমান কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হন।
তারপরই ঘটে সেই অঘটন, হঠাৎই বিমানের করিডোরে দাঁড়িয়ে জিনু প্রথমে নিজের ট্রাউজার্স খোলেন। তারপর শর্ট প্যান্ট খুলে বিমানের মেঝেতেই প্রস্রাব করেন। এরপর অবশ্য বিমান কর্মীরা তাকে ছেড়ে দেননি। সঙ্গে সঙ্গে জিনুর হাতে প্ল্যাস্টিকের হাতকড়া পড়ানো হয়। তারপর বিমানটি বিরমিংঘাম বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই জিনুকে গ্রেফতার করে বিরমিংঘাম ক্রাউন কোর্টে পাঠানো হয়। সেখানেই তার অপরাধের শাস্তি স্বরূপ ১ হাজার পাউন্ড জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
যদিও পরে এই ঘটনার কথা শুনে লজ্জাবোধ করেন জিনু আব্রাহাম। তিনি জানান, ঘটনার দিন খেওয়া দাওয়া একটু বেশি পরিমানে করেছিলেন। তার কারণেই স্নায়ু দুর্বলতা থেকেই বিমানের করিডরে প্রস্রাব করে ফেলেন তিনি। সে দিনের কোনো ঘটনা তার মনে নেই বলেও জানান জিনু। যাই হোক, এয়ার ইন্ডিয়া বা আদালত এ কথা শুনবে কেন! আর তাই খেসারত হিসেবে ১ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে হল জিনু আব্রাহামকে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই