আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে শেখ হাসিনার দেশ-বিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এক পর্যায়ে বাড়িটি ভাঙা হয়। এ ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছে ভারত।
ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই কাজকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে ভারত। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
ভাঙচুরের বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘দখলদারিত্ব ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনটি ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে। এটি দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, বাঙালি পরিচয় ও গর্বকে লালনকারী স্বাধীনতাসংগ্রামকে যারা মূল্যায়ন করেন, তারা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার জন্য এই বাসভবনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত আছেন। এই ভাঙচুরের ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানানো উচিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও জয়সওয়ালের মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে, ভারতে অবস্থান করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি দেয়ায় দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আবারও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতকে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে বিবৃতি দিতে না দেয়ার জন্য। তার মিথ্যা বক্তব্য বাংলাদেশে প্রভাব পড়েছে। শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ছিল আক্রমণাত্মক। আমরা দেখব তিনি আগামীতে কেমন বক্তব্য দেন। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এছাড়া, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেইসঙ্গে পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে সৃষ্ট জনগণের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।