আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেড় মাসে বিষাক্ত ম-দপান করে মারা গেছেন ১০৩ জন। পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৩০ জন; এই অসুস্থদের মধ্যে ৪০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মৃতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটক আছেন ৬ জন। সবচেয়ে কনিষ্ঠ যিনি মারা গেছেন, তিনিও একজন পর্যটক। ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছিলেন।
রাজধানী আঙ্কারা এবং প্রধান পর্যটন শহর ইস্তাম্বুলে ঘটেছে এ ঘটনা। অন্য কোনো শহরে বিষাক্ত ম-দপানের কারণে অসুস্থতা বা মৃত্যুর কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তুরস্কে মদ নিষিদ্ধ নয়, তবে বিপুল পরিমাণে কর বসানোর কারণে গত কয়েক বছর ধরেই ম-দের দাম বাড়ছে দেশটিতে। ম-দপ্রস্তুতাকরী কোম্পানিগুলোর ওপরও ব্যাপক মাত্রায় কর আরোপ ও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ২০২৫ সালে সর্বশেষ ম-দ এবং তা-মাকজাত পণ্যের ওপর নতুন কর বসিয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন সরকার।
এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ম-দ প্রস্তুতকারী অপেক্ষাকৃত অনেক কম দামে নিজেদের ‘ঘরে তৈরি’ ম-দ বিক্রি করছে। প্রথমদিকে তারা তাদের পণ্য শুধু ম-দ্যপায়ী গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করত; বর্তমানে বিভিন্ন দোকান এবং রেস্তোরাঁতেও পাওয়া যাচ্ছে এই ম-দ।
নেশার মাত্রা বাড়াতে ‘ঘরে তৈরি’ এসব ম-দে প্রায়েই মিথানল, ইথানল (স্পিরিট) এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান অতিমাত্রায় মেশায় কারিগররা। আর এসব ভেজাল ম-দপানের ফলে অসুস্থতা ও মৃত্যুর শিকার হন লোকজন।
এদিকে আঙ্কারা ও তুরস্কে শতাধিক মৃত্যুর পর দুই শহরে অভিযান শুরু করেছে সরকারি কর্তৃপক্ষ। বিষাক্ত ম-দ তৈরি ও সরবরাহের অভিযোগে ইতোমধ্যে আঙ্কারায় ১৩ জনকে এবং ইস্তাম্বুলে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া দুই শহর থেকে ১০২ টন মিথানল ও ইথানল এবং ৮৬ হাজার লিটারেরও বেশি ম-দ জব্দ করা হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট, এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড