শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৫২:০০

মাত্র দুজন কাজ করেন এমন একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে: ট্রাম্প

মাত্র দুজন কাজ করেন এমন একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র যে ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে, সেটি এমন একটি ফার্মের (সংস্থা) কাছে গেছে যেখানে মাত্র দুজন কাজ করেন। এমনকি ওই সংস্থার নামও কেউ আগে শোনেনি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান 'গভর্নরস ওয়ার্কিং সেশন'-এ এমন বিস্ফোরক দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি ২৯ মিলিয়ন ডলারের তহবিলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

হোয়াইট হাউজের অফিসিয়াল ইউটিউব পেজে ট্রাম্পের পুরো বক্তৃতাটি আপ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম স্থগিতের পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের নানান দেশে সংস্থাটির অর্থায়ন বাতিল করে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের নেতৃত্বধীন দেশটির সরকারি দক্ষতাবিষয়ক বিভাগ (ডিওজিই)। সেখানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাতিল করার কথা জানানো হয়। এরপরই বিষয়টি আলোচনায় আসে।

ডিওজিই এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে ওই তথ্য জানিয়েছে। তবে বাংলাদেশের কোন সংস্থার জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল সেটি স্পষ্ট নয়।

গভর্নর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে এমন এক ফার্মকে, যার নাম আগে কেউ শোনেনি। তারা ২৯ মিলিয়ন ডলারের চেক পেয়েছে। আপনারা কী কল্পনা করতে পারেন! আপনার ছোট একটি সংস্থা আছে। আপনি এখানে ১০ হাজার পান, ওইখানে এক লাখ পান। এবং তারপরে পেলেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার'।

তিনি আরও বলেন, 'ওই সংস্থায় দুজন কাজ করেন, মাত্র দুজন। আমি মনে করি তারা খুব খুশি, তারা খুবই ধনী। খুব শিগগির তাদের ছবি বড় কোনো বিজনেস ম্যাগাজিনে প্রকাশ হবে'। 

এছাড়াও, ভারতকে দেওয়া অনুদান নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, '২১ মিলিয়ন ডলার আমার বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে দেওয়া হয়েছে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য।'

তিনি বলেন, 'আমরা ভারতের জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি ভোটার উপস্থিতির জন্য। আমাদের কী হবে? আমিও তো চাই ভোটার উপস্থিতি বাড়ুক।'

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল)' প্রকল্পটি ইউএসআইডি ও ডিএফআইডি-এর অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এর লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি, দল ও জনগণের মধ্যে সংযোগ শক্তিশালী করা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা কমানো। প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে