আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানেও চলছে নানা প্রস্তুতি। নিত্যপণ্য কিনতে বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কর্তৃপক্ষ বলছে, মূল্যস্ফীতি কমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছুতেই থামছে না দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বর্গতি।
রোজার শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে এরইমধ্যে জমে উঠেছে পাকিস্তানের বাজার। আগাম কেনাকাটায় ব্যস্ত দেশটির বাণিজ্যক রাজধানী করাচির বাসিন্দারাও। তবে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
নগরবাসীর অভিযোগ, মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেলেও ক্রয়সীমার মধ্যে আসছে না নিত্যপণ্যের দাম। তাদের একজন বলেন, ‘বিক্রেতারা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাচ্ছে না। কিছুদিন আগে ১ কেজি গরুর মাংস ১১০০ রূপিতে কিনেছি। কিন্তু এখন ১৩০০ রুপিতে কিনতে হচ্ছে।’
ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল থাকার পাশাপাশি আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। গত বছর আইএমএফের কাছ থেকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ পায় পাকিস্তান। এ কর্মসূচির অধীনে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের দীর্ঘ পথে রয়েছে দেশটি।
এদিকে, বৈশ্বিক ঋণদাতার সুবিধার প্রথম ধাপের পর্যালোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি প্রতিনিধিদল ইসলামাবাদ সফর করতে পারে বলে জানা গেছে।