সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ০৯:৪২:৩৮

শত শত ফ্লাইট বাতিল

শত শত ফ্লাইট বাতিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানিতে বেতনাদি সমস্যার জেরে বিমানবন্দর শ্রমিকদের আকস্মিক ধর্মঘটে শত শত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। রোববার (৯ মার্চ) হামবুর্গ বিমানবন্দর থেকে দেশব্যাপী এ ধর্মঘটের সূচনা হয়।

ফ্লাইট কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ায় কর্তপক্ষ ফ্রাঙ্কফুট, মিউনিখ, বার্লিনসহ বড় বড় বিমানবন্দর এড়িয়ে বিকল্প উপায়ে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে।

দেশটির অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর ফ্রাঙ্কফুট কর্তপক্ষ জানায়, নিশ্চিতভাবে বিমান চলাচল বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীরা বিমানে গন্তব্যস্থলে যেতে পারবে না।

মূলত পাবলিক সেক্টর এবং পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন ভারদি। তাদের নেতৃত্বে এ সেক্টরে নিয়োজিত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও কাজের পরিবেশ উন্নয়নের দাবিতে ধর্মঘট চলছে।

জার্মান মিডিয়া বলছে, ধর্মঘটের ফলে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হতে পারে। এতে ৫ লাখের বেশি যাত্রী সমস্যায় পড়বে বলে মনে হচ্ছে।

জার্মান বিমান সংস্থা লুফথানসা জানায়, তাদের বহরের বিমানের ফ্লাইট ব্যাপকভাবে বাতিল করতে হচ্ছে এবং কিছু ফ্লাইটে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে মিউনিখ বিমানবন্দর সর্তক করে বলছে, সারাদেশে বিমানের ফ্লাইট শিডিউল অতিমাত্রায় কমে গেছে।

হামবুর্গ বিমানবন্দরের মুখপাত্র কাতজা ব্রম জানান, সোমবার ১৪৩টি ফ্লাইট ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। ছুটির মৌসুমের শুরুতে এভাবে বিনা নোটিশে ভারদির ধর্মঘট আহ্বান করা উচিত হয়নি।

কাতজা ব্রম বলেন, রোববার শুরু হওয়া ধর্মঘট অতিরঞ্জিত ও অন্যায্য। এতে হাজারও যাত্রী সমস্যায় পড়েছেন। অথচ এ সমস্যায় তারা কোনোভাবে দায়ী নয়।

যাত্রীদের সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে শ্রমিক সংগঠন ভারদির মুখপাত্র জার্মান মিডিয়াকে বলেন, নিয়োগকর্তাদের থেকে উপযুক্ত কাজের পরিবেশ ও বেতন আদায়ে এ ধর্মঘট ডাকা প্রয়োজন ছিল।

এ অবস্থায় ফ্রাঙ্কফুটের ১৭৭০ ফ্লাইটের অনেকগুলো ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি মিউনিখের বেশিরভাব ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক যাত্রী বিমানবন্দরে তাদের লাগেজ চেক ইন করে ফেলেছে। ফলে এসব ফেরত পেতে সমস্যায় পড়ছে বলে জানায় পাবলিক ব্রডকাস্টার এনডিআর। মাধ্যমটি আরও বলছে, চলমান ধর্মঘটে হ্যানোভার বিমানবন্দরে বিমান ট্রাফিক সিস্টেমে অচলাবস্থা দেখা দেয়। 

বিমানবন্দরে ধর্মঘটের পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠন ভারদির ডাকে রাজধানী বার্লিনসহ কয়েকটি শহরে ময়লা সংগ্রহের কাজও বন্ধ রয়েছে। ইউনিয়নটি দাবি করছে, বিমানবন্দর শ্রমিকদের ৮ শতাংশ মজুরি বাড়াতে হবে অথবা মাসে ৩৫০ ইউরো বেশি দিতে হবে। এর সাথে অতিরিক্ত বোনাস দিতে হবে এবং অতিরিক্ত সময়েও কাজের নিয়ম বাতিল করতে হবে।

শ্রমিকদের এ দাবির প্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ জানায়, তাদের পক্ষে এগুলো মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

এ অবস্থায় উভয়পক্ষকে নিয়ে চলমান সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় কর্তপক্ষের উদ্যোগে আলোচনা চলছে। পরবর্তী আলোচনা আগামী শুক্রবারে পটসডামে অনুষ্ঠিত হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে