বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৪৮:২৯

ইলন মাস্কের প্রতি নিজের বন্ধুত্বের প্রমাণ দিলেন ট্রাম্প

ইলন মাস্কের প্রতি নিজের বন্ধুত্বের প্রমাণ দিলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথমে শুল্ক আরোপ, তারপর সমঝোতা চুক্তি—এটাই যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একমাত্র বাণিজ্য কৌশল হয়ে উঠেছে। বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব ছাড়া কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না তার আগ্রাসী শুল্ক নীতি।

মঙ্গলবার কানাডার নতুন প্রেসিডেন্ট মার্ক কার্নির শুল্ক আরোপের জবাবে ট্রাম্প দেশটির ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ পোর্ট যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান, নিউইয়র্ক এবং মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে বিদ্যুৎ রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। একই সঙ্গে তিনি অন্টারিওর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দেন।

ডগ পোর্টের প্রস্তাবে রাজি হয়ে হোয়াইট হাউস কানাডার ওপর আরোপিত নতুন ৫০ শতাংশ শুল্ক স্থগিত করে। তবে বাণিজ্য যুদ্ধ বড় আকার ধারণ করলে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের তেল রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী জোনাথান উইলকিনসন।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিস জানিয়েছেন, তার প্রশাসন মার্কিন পণ্যের ওপর কোনো ধরনের পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে না।

এদিকে, আবারও মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্কের প্রতি নিজের বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়েছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক ট্রান্সক্রিপ্টের তথ্যানুযায়ী, টেসলার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের সহিংসতাকে মার্কিন আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদ হিসেবে গণ্য করা হবে। বিশ্বজুড়ে টেসলা-বিরোধী আন্দোলন এবং শেয়ার বাজারে দরপতনের পর এমন সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প।

তার মতে, মাস্ক নিজের প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী। তাই মাস্কের প্রতি সমর্থন জানাতে ট্রাম্প নিজে টেসলার নতুন মডেলের একটি গাড়ি কেনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এর মধ্যেই বাজেট ঘাটতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক দপ্তর বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছিল। তবে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের একটি প্রস্তাব ২১৭ ভোটে পাস হয়েছে, যেখানে একজন ডেমোক্র্যাটও ভোট দিয়েছেন। এবার সিনেটে এ বিল পাস করতে অন্তত আটজন ডেমোক্র্যাট নেতার সমর্থন প্রয়োজন।

বাণিজ্য ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।           

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে