আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় সংসদ। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাবও গ্রহণ করেছে তারা। ফলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে রিয়াদকে। সাথে রয়েছে দুশ্চিন্তাও।
ইউরোপীয় সংসদের ৩৫৯ জন প্রস্তাবের পক্ষে এবং ২১২ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া, ৩১ সদস্য ভোটদানে বিরত থেকেছেন। কি সেই প্রস্তাব? আর কেনই বা এই নিষেধজ্ঞা?
ইয়েমেনের শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের অব্যাহত হামলার মধ্যে এ প্রস্তাব গ্রহণ করল ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। ইয়েমেনে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা বর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাব গ্রহণ করার পর গ্রিন/ ইউরোপীয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্সের মুখপাত্র অ্যালিন স্মিথ বলেন, রিয়াদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানের মধ্যদিয়ে ইয়েমেনে আগ্রাসন ইস্যুতে সৌদির ভূমিকার বিষয়ে ইউরোপীয় সংসদের ব্যাপক ক্ষোভই ফুটে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের শীর্ষ অস্ত্র ক্রেতা হলো সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ সব অস্ত্র ইয়েমেনে ব্যবহারের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া তিনি বলেন, সৌদি হামলার পর ইয়েমেনে হাজার হাজার নিরীহ বেসামরিক মানুষ মারা গেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে তৈরি অস্ত্র সৌদিতে রফতানি করার বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক ফেডারিক মোগিরিনি। সৌদি আরব বিরোধী প্রস্তাব গ্রহণ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বিরত রাখার লক্ষ্যে ব্রাসেলসে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ প্রস্তাব গৃহীত হলো।
ইউরোপীয় সংসদের প্রস্তাব মানার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এটি সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বেশ চাপ সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস