শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৪:৩১

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বেত নিয়ে যেতে দেয়া উচিত: কেরালা হাইকোর্ট

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বেত নিয়ে যেতে দেয়া উচিত: কেরালা হাইকোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিক্ষকদের বেত নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত। সম্প্রতি এক মামলার শুনানিতে এমনটাই পর্যবেক্ষণ কেরালা হাইকোর্টের। আদালত জানিয়েছেন, শিক্ষকরা চাইলে তাদের বেত নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

শনিবার (১৫ মার্চ ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি সব সময় ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। তবে শিক্ষকদের হাতে একটি বেত থাকলে তা শিক্ষার্থীদের  উপর মানসিকভাবে প্রভাব ফেলবে। ফলে কোনো খারাপ কাজ করার আগে তারা ভেবে দেখবে।

এর আগে কেরালার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা। মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। সম্প্রতি ওই মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকের আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছেন কেরালা হাইকোর্ট।

বিচারপতি পিভি কুন্নিকৃষ্ণনের নির্দেশ, আগে পুলিশকে অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দেখতে হবে। তিনি জানান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী বা অভিভাবক কোনো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ তুললে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা যাবে না।

সমসাময়িক বিভিন্ন পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন বিচারপতি। তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা কোথাও স্কুলে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছে, কোথাও মাদক বা মদ নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের নির্দেশ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিচারপতি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে তরুণ প্রজন্মের আচরণ উদ্বেগজনক। তারা গুরুতর অপরাধমূলক মামলায় জড়িয়ে পড়ছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মাদক ও মদ্যপানেও আসক্ত। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তারা শিক্ষকদের হুমকি দিচ্ছে এবং শিক্ষকদের উপর শারীরিক আক্রমণ হচ্ছে। এমনকি ঘেরাও পর্যন্ত হচ্ছে। এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া উচিত।’

এই অবস্থায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের হাতে বেত রাখতে দেয়ার পক্ষে আদালত। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, হাতে বেত থাকা মানেই তা ব্যবহার করতে হবে, এমনটা নয়। শিক্ষকদের হাতে বেত দেখলে শিক্ষার্থীরা সংযত থাকবে।

শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা এবং আচরণের জন্য ছোটখাটো শাস্তি দেয়ার জন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলারও বিপক্ষে বিচারপতি। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে