আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘আমি কানাডায় আফসোস করছি’ ভারতীয় এক শিক্ষার্থীর এমন একটি পোস্ট রেডিটে ভাইরাল হয়েছে। কানাডায় গিয়ে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা কী ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন সেটির কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন তিনি। যারা উন্নত বিশ্বে স্যাটেল হওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের সতর্কতা দিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেছেন, পশ্চিমা দেশে উন্নত জীবনের আশা করা বিভ্রম ছাড়া আর কিছু না।
নাম প্রকাশ না করে ওই ভারতীয় শিক্ষার্থী রেডিটে আরও লিখেছেন, কানাডার সরকার ও সেখানকার কলেজগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা বেসরকারি এবং নিচের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তাদের কাছ থেকে টিউশিন ফি হিসেবে অত্যাধিক অর্থ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর বদলে দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের শিক্ষা।
তিনি লিখেছেন, “শিক্ষকদের কোনো যত্নই নেই। সিলেবাস পুরোনো আমলের। যে ডিগ্রি দেওয়া হয় চাকরির বাজারে এটির কোনো মূল্য নেই। চাকরিদাতারা আপনার ডিপ্লোমাকে গণনাই করে না।”
তিনি বিশেষ করে কালগারির বো ভ্যালি কলেজের কথা উল্লেখ করেছেন। যেটিকে ‘সবচেয় বাজে’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, ‘কানাডিয়ান অভিজ্ঞতা’ না থাকলে শিক্ষার্থীদের উবারের গাড়ি চালানো, গুদাম অথবা দোকানে কাজ করা ছাড়া আর কোনো উপায়ই থাকে না। যেগুলো নিছকই বেঁচে থাকার কাজ।
এই শিক্ষার্থী সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, কানাডায় জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক। এখানে বাড়ি ভাড়া, নিত্যপণ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। যা অনেকের ধারণারও বাইরে। তিনি বলেন, “বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কম বেতনে বেশি সময় কাজ করে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য। কাজ-জীবনের মধ্যে কোনো ব্যালেন্স নেই। আপনাকে হয় কাজ করতে হবে, নয়ত না খেয়ে থাকতে হবে।”
তিনি দাবি করেন, এসব শিক্ষার্থীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয় কানাডিয়ানরা। যদি কেউ কম বেতনের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানায় তাহলে তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কারণ এই কাজ নেওয়ার জন্য আরও অনেকেই বসে থাকে।
তিনি বলেন, “কানাডিয়ানরা ভালো কিন্তু দূরে থাকে এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব খুবই বিরল। হতাশা এবং একাকিত্ব বেশ আঘাত করে এবং অনেক শিক্ষার্থী নিরবে ভোগে।”
তিনি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভারতেই থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমারা বাইরের শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্ন বিক্রি করে। যা সত্যি নয়। আর এ বিষয়টি এখানে আসলেই টের পাওয়া যায়। সূত্র: এনডিটিভি