শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৬:০৪

শুল্কারোপের আওতা থেকে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে বাদ

শুল্কারোপের আওতা থেকে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে বাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সমহারে শুল্কারোপের আওতা থেকে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে বাদ দিয়েছে, যার মধ্যে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্কও অন্তর্ভুক্ত।

শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশন এক নোটিশ প্রকাশ করে জানায়, এসব পণ্যকে ট্রাম্পের অধিকাংশ দেশের ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ বৈশ্বিক শুল্ক ও চীনের পণ্যের ওপর আরোপিত আরো উচ্চ হারে শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো, যখন মার্কিন প্রযুক্তি কম্পানিগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করছিল, শুল্কারোপের কারণে অনেক ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম হঠাৎই কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে। কারণ এসব পণ্যের বেশি রভাগই চীনে উৎপাদিত।

শুল্ক মওকুফ পাওয়া অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যের মধ্যে রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর, সোলার সেল ও মেমোরি কার্ড।

কিছু অনুমান বলছে, শুল্কের বাড়তি খরচ ক্রেতাদের ওপর চাপিয়ে দিলে মার্কিন বাজারে আইফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম তিনগুণ বেড়ে যেত। যুক্তরাষ্ট্র অ্যাপলের একটি বড় বাজার। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের অর্ধেকের বেশি ছিল অ্যাপলের তৈরি।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য নির্ধারিত অ্যাপলের আইফোনের প্রায় ৮০ শতাংশ চীনে ও বাকি ২০ শতাংশ ভারতে উৎপাদিত হয়।
চীনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো অন্য স্মার্টফোন নির্মাতারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সরবরাহব্যবস্থা বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে ভারত ও ভিয়েতনাম এগিয়ে এসেছে। শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর অ্যাপল ভারতে তাদের ডিভাইসের উৎপাদন বাড়াতে আরো তৎপর হয় বলে জানা গেছে।

এই সপ্তাহে ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে বুধবার হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন করে তিনি ঘোষণা দেন, চীন বাদে মার্কিন শুল্কের পাল্টা জবাব না দেওয়া অন্যান্য দেশের জন্য ৯০ দিনের বিরতি কার্যকর হবে। এ সময়ের মধ্যে তারা মাত্র ১০ শতাংশ শুল্কের আওতায় থাকবে। এ সিদ্ধান্ত জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

তবে চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেন, চীন পাল্টা জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ মূলত অন্যান্য দেশের কাছ থেকে আরো ভালো বাণিজ্য চুক্তি আদায়ের একটি কৌশল। ট্রাম্প বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্কারোপের মাধ্যমে তিনি বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার অসাম্য দূর করতে চান এবং এতে করে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান ফিরে আসবে।- বিবিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে