আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কঙ্গোতে আগুন লেগে যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে অন্তত ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও শতাধিক। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে এপি।
প্রতিবেদন মতে, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে ভয়াবহ এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এইচবি কঙ্গোলো নামে কাঠের নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিল।
কোম্পেতেন্ত লয়োকো নামে নদী দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তার মতে, একজন নারী নৌকায় রান্না করছিলেন। তা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং নৌকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ভয়ে অনেক যাত্রী পানিতে লাফিয়ে পড়ে। তাদের অনেকেই সাতার জানত না। এক পর্যায়ে নৌকাটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
দাতব্য সংস্থা রেডক্রস ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অনেককেই জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে বেশিরভাগেরই শরীর দগ্ধ হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
ইকুয়েটুর প্রদেশের সিনেটর জ্যঁ পল বোকেৎসু বোফিলি শুক্রবার জানান, ৫০০ জন যাত্রীর মধ্যে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক। তিনি জানান, ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এই জনপ্রতিনিধি আরও জানান, ১৫০ জনেরও বেশি অগ্নিদগ্ধের শিকার ব্যক্তির জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। কঙ্গোতে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার প্রধান বাহন হচ্ছে মান্ধাতার আমলের কাঠের নৌকা। অথচ এগুলো প্রায়ই অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে চলাচল করে থাকে। ফলে দেশটিতে নৌ-পথে দুর্ঘটনা প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে কঙ্গোর লেক কিভুতে ২৭৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। তাতে কমপক্ষে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া একই বছরের ডিসেম্বরে পশ্চিম কঙ্গোতে আরেকটি নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ২২ জন প্রাণ হারান।