আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে একদল বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার মুখে পড়েছেন দেশটির এক মন্ত্রী। মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে টমেটো ও আলু ছুড়ে মারা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, সিন্ধু প্রদেশের থাট্টা জেলা দিয়ে যাচ্ছিলেন পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী খিয়াল দাস কোহিস্তানি। ওই সময়ে সরকারি কিছু নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একদল জনতা। এক পর্যায়ে তারা টমেটো ও আলু দিয়ে মন্ত্রীর ওপর হামলা করেন।
সিন্ধু প্রদেশে সেচের জন্য পাকিস্তান সরকারের বেশ কিছু খাল কাটার প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সেচের জন্য ওই খালগুলো কাটা হলে সিন্ধু প্রদেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নদীর নিম্ন অববাহিকায় জলের ধারা কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই সরকারি প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে সিন্ধু প্রদেশে। শনিবারও (১৯ এপ্রিল) এমন একটি বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভার অন্যতম সংখ্যালঘু সদস্য কোহিস্তানি।
মন্ত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ এবং এক পর্যাযে তার গাড়ি লক্ষ্য করে আলু-টমেটো ছুড়ে মারা হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে তার নিরাপত্তা কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনাকে ‘হামলা’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার। এদিকে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। মন্ত্রীর ওপর হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার প্রত্যয় ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।’
সিন্ধু প্রদেশের পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল গুলাম নবি মেমনকে দ্রুত এই ঘটনার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেছেন সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলি শাহও। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারও নেই। তথ্যসূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও এনডিটিভি