আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিযেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে এই ভয়াবহ হামলায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতকে সব ধরনের সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পরই মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজ নেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর কিছুক্ষণ পরই সৌদি আরবে সরকারি সফরে থাকা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছেন। এসময় জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানির জন্য গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
পোস্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও লেখেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘নারকীয় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি হামলায় অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসাথে লড়াই চালিয়ে যাবে।
এর আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন ল্যাভিট জানিয়েছিলেন, জম্মু কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প। এরপর দুই দেশের প্রধানের মধ্যে কথোপকথন হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত মনোরম শহর পহেলগামেকে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। জনপ্রিয় এই পর্যটন নগরীতে এই হামলা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
এদিকে হামলার পর সৌদি আরবে সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সৌদি বাদশাহ আয়োজিত সরকারি নৈশভোজ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাতেই জেদ্দা থেকে নয়াদিল্লির বিমান ধরার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির।