আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এবার খানিকটা লাগাম টানার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ওপর আরোপিত শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে মার্কিন ফেডারেল ব্যাংকের প্রধানকে বরখাস্ত করার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্ববাজারে বিদ্যমান উত্তেজনা কিছুটা হলে কমেছে এতে; ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যার প্রভাব।
এরই মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ৩ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে স্বর্ণের দাম। খবর রয়টার্সের।
বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্পট মার্কেটে বুধবার (২৩ এপ্রিল) আউন্সপ্রতি সাড়ে ৩ হাজার ৫০০ দশমিক ৫ ইউএস ডলার থেকে এক লাফে ৩ হাজার ২৮১ দশমিক ৬ ডলারে নেমে এসেছে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ লাখ ৩৫৫ টাকার সমান (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। এ হিসাবে বিশ্ববাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বর্তমানে।
অন্যদিকে, মার্কিন ফিউচার মার্কেটে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ২৯৪ দশমিক ১ ডলারে এসে স্থির হয়েছে স্বর্ণের দাম; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ লাখ ১ হাজার ৮৮০ টাকা।
মূলত, ট্রাম্পের শুল্ক হ্রাসের ঘোষণার পরপরই বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। এছাড়া সুদের হার না কমানোর জন্য ফেডারেল রিজার্ভ প্রধান জেরোম পাওয়েলের তীব্র সমালোচনার কয়েকদিন পর তাকে বরখাস্ত করার হুমকি থেকে ট্রাম্পের সরে আসার সিদ্ধান্তেও বাজারে স্বস্তি ফিরেছে এবং ডলারের দাম আবারও বেড়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট রয়টার্সকে বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, বাণিজ্য আলোচনা এগিয়ে যাওয়ার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে অত্যধিক উচ্চ শুল্ক হ্রাস করতে হবে।
মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে। এই প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের প্রধান বিকল্প হয়ে উঠেছে স্বর্ণ।
বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যেও রিজার্ভ হিসেবে চাহিদা বেড়েছে স্বর্ণের। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের শুরু থেকে ২৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে স্বর্ণের দাম।