আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ে বিপর্যস্ত নিউজিল্যান্ড। রাজধানী ওয়েলিংটনে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ঝড়ো হাওয়া। এতে বন্ধ হয়ে গেছে বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাতিল হয়েছে বহু ফ্লাইট। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে বন্যা। শহরজুড়ে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল থেকেই নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে শুরু হয় ভয়াবহ ঝড়। জাতীয় আবহাওয়া গবেষণা সংস্থা জানায়, এ সময় শহরে বাতাসের গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ৮৭ কিলোমিটার, যা ২০১৩ সালের পর সর্বোচ্চ।
আর শহরের উপকণ্ঠ বারিং হেডে রেকর্ড হয়েছে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এটাই এক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
ঝড়ের ভয়াবহতায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘রেড উইন্ড ওয়ার্নিং’ জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ । ২০১৯ সালে এই সতর্কতা চালু হওয়ার পর এই প্রথম ওয়েলিংটন শহরের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি হলো।
এদিকে, প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়েছে গাছপালা, উড়ে গেছে ছাদ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎলাইন। সতর্কতা হিসেবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনসহ রাজধানীর সব স্কুল-কলেজ। বাতিল হয়েছে ওয়েলিংটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অধিকাংশ ফ্লাইট।
সকালের কিছু ফ্লাইট ছাড়লেও, দুপুরের পর কার্যত বন্ধ পুরো আকাশপথ। পাশাপাশি বাতিল হয়েছে নর্থ আইল্যান্ড ও সাউথ আইল্যান্ডের মধ্যকার সব ফেরি চলাচল।
দক্ষিণ দ্বীপে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে হঠাৎ বন্যা। যার প্রভাবে বন্ধ হয়েছে সড়কপথ। ভূমিধসের ঝুঁকি মাথায় রেখে অনেক এলাকাতেই বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে।