আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘পাকিস্তান-ভারত দ্বন্দ্ব মূলত কাশ্মীর সংকটকে ঘিরেই’ এবং ‘সেখানকার ৯৩ শতাংশ মুসলিম, তারা ভারতের সঙ্গে থাকতে চায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব আয়াজ আহমদ চৌধুরী।
রোববার (১১ মে) জিও পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব আয়াজ আহমদ চৌধুরীর এমন মন্তব্য নিয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ তার নিজের ‘ভয়েস বাংলা’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে ‘কাশ্মীরের ৯৩ শতাংশ মানুষ মুসলিম, তারা ভারতের সঙ্গে থাকতে চায় না’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর একটি সত্য কথা বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব আয়াজ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন কাশ্মীরে ৯৩ শতাংশ মানুষ মুসলিম, তারা ভারতের সঙ্গে থাকতে চায় না। এটা অত্যন্ত সত্য কথা।’
সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ জানান, যখন নাকি ভারত ভাগ হয় তখন খুব কৌশলে এই কাশ্মীর দখল করে নেয় ভারত। অথচ সেই কাশ্মীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হচ্ছে মুসলিম। তারপরও তারা কাশ্মীরকে নিয়ে নেয়। এ নিয়ে অনেক ইতিহাস, অনেক কাহিনী, অনেক যুদ্ধ।
কাশ্মীরকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সংকট যুগের পর যুগ ধরে স্থায়ী সংকটে রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার মধ্য দিয়ে কাশ্মীর সংকটের সমাধান হবে এটা কেউ বিশ্বাস করে না। কাশ্মীর সংকটই পাকিস্তান-ভারত দ্বন্দ্বের মূল কেন্দ্রবিন্দু এবং অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কাশ্মীরীদের মতামতকে উপেক্ষা করা অযৌক্তিক। এমনটাই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব আয়াজ আহমেদ চৌধুরী।’
প্রসঙ্গত, জিও পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব আয়াজ আহমদ চৌধুরী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ৯৩ শতাংশ মানুষ মুসলিম, কিন্তু ১৯৪৭ সালে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই অঞ্চল পাকিস্তানের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
তার মতে, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আবারও প্রমাণ করেছে, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ভারতের উচিত বুঝে নেওয়া যে, কাশ্মীরিরা তাদের সঙ্গে থাকতে চায় না। তাদের দমননীতিই সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে।’