আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত ও চীনের মধ্যে ‘বিরোধপূর্ণ এলাকা’ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যেখানে দুই পক্ষই ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতি জারি করেছে।
সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নাম পরিবর্তনের ঘটনাকে চীনের ‘অযৌক্তিক প্রচেষ্টা’ উল্লেখ করে বুধবার (১৪ মে) তা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের জন্য নিরর্থক এবং অযৌক্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে চীন।’
উত্তর-পূর্ব অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত ও চীনের পাল্টাপাল্টি দাবি রয়েছে। অরুণাচল প্রদেশ চীনে জাংনান নামে পরিচিত। বেইজিং বলছে, তারা ‘তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশকে কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।’
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমাদের নীতিগত অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টাকে (বিভিন্ন এলাকার নাম পরিবর্তন) স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করি। নামকরণ এই অনস্বীকার্য বাস্তবতাকে পরিবর্তন করবে না যে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।’ তবে বেইজিং বলছে, ‘জাংনান চীনের ভূখণ্ড’। খবর চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের।
চীনের বেসামরিক-বিষয়ক মন্ত্রণালয় অরুণাচল প্রদেশের প্রায় ২৭টি স্থানের জন্য তাদের সবশেষ নাম প্রকাশ করার পর নয়াদিল্লির এই বিবৃতি এলো। এসব স্থানের মধ্যে ১৫টি পাহাড়, পাঁচটি আবাসিক এলাকা, চারটি পাহাড়ি গিরিপথ, দুটি নদী এবং একটি হ্রদ রয়েছে।
চীন বিতর্কিত এলাকাগুলোকে তার দক্ষিণ তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ‘অংশ’ হিসেবে বিবেচনা করে, যাকে বেইজিং ‘জিজাং’ বলে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘চীনা সরকার জাংনানের কিছু স্থানের মানসম্মত নামকরণ করেছে, যা সম্পূর্ণরূপে চীনের সার্বভৌমত্বের আওতাধীন।’ সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি