আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই এবার একে অপরের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ উত্থাপন করেছে রাশিয়া ও তুরস্ক। ফলে ভেস্তে যেতে পারে শুক্রবার মধ্যরাতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি।
গত সোমবার রাশিয়া ও আমেরিকা সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয় এবং জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাস হয়। এর পরদিনই রবিবার সকালে উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো প্রদেশের ছয়টি শহরে বিমান হামলা হয়েছে।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বলছেন, সিরীয় সরকারের সহায়তায় এ হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার জঙ্গিবিমান। তবে দা সিরিয়ান অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, কারা এ হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তাছাড়া এই শররগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্তর্ভুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে হামলার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে রাশিয়ায় নিযুক্ত কুর্দি মিশনের প্রধান রোদি ওসমান রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরগুলোতে তুরস্কের সেনারা গোলাবর্ষণ করেছে। তুর্কি সেনারা তাল আবিয়াদ ও উসলাব শহরে গোলাবর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া ২২৬৮ নম্বর প্রস্তাবের প্রথম লঙ্ঘন হয়েছে তুরস্কের মাধ্যমে। সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন না করার জন্য অবশ্যই তুরস্কের প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের আহ্বান জানানো উচিত।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার সহযোগী নুসরা ফ্রন্টের ওপর হামলায় কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। যে শহরগুলোতে হামলা হয়েছে সেগুলো, বিশেষ করে ডারেত আজা নুসরা ফ্রন্ট ও অন্যান্য ইসলামি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস