শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ০৯:৪৩:১৭

বিমান বিধ্বস্ত; জ্বালানি সুইচগুলো একসঙ্গে ‘চালু’ অবস্থা থেকে ‘বন্ধ’ হয়ে যায়!

বিমান বিধ্বস্ত; জ্বালানি সুইচগুলো একসঙ্গে ‘চালু’ অবস্থা থেকে ‘বন্ধ’ হয়ে যায়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের আহমেদাবাদে গেল মাসে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের মাত্র তিন সেকেন্ড পরেই উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচগুলো প্রায় একসঙ্গে ‘চালু’ অবস্থা থেকে ‘বন্ধ’ (কাটঅফ) অবস্থায় চলে যায়। এর ফলে ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটির গতি দ্রুত কমতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি নিচের দিকে নামতে শুরু করে এবং বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হন।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে একজন পাইলটকে অপর পাইলটকে জিজ্ঞেস করতে শোনা যায়, তুমি কেন জ্বালানি বন্ধ করলে? জবাবে অপর পাইলট বলেন, আমি জ্বালানি বন্ধ করিনি।

তবে কারা এই কথোপকথনে যুক্ত ছিলেন ক্যাপ্টেন নাকি ফার্স্ট অফিসার? প্রতিবেদনে তা স্পষ্ট করা হয়নি। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার আগে কে ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন সেটিও উল্লেখ করা হয়নি।

এখনও স্পষ্ট নয়, কীভাবে ফ্লাইটটির ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচ ‘কাটঅফ’ অবস্থানে চলে গিয়েছিল। সাধারণত এই সুইচগুলো গন্তব্যের বিমানবন্দরে পৌঁছে বা কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে বন্ধ করা হয়। কিন্তু ওই ফ্লাইটে এমন কোনো জরুরি অবস্থা হয়েছিল কিনা, তা-ও প্রতিবেদনে পরিষ্কার নয়।

এ বিষয়ে মার্কিন উড়োজাহাজ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জন কক্স বলেন, একজন পাইলটের পক্ষে ভুল করে এই সুইচগুলো নাড়ানো সম্ভব নয়। এগুলো অতি সহজে সরেও যায় না। কাটঅফ অবস্থানে চলে গেলে ইঞ্জিন সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়।

ভারতের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা তদন্ত কর্তৃপক্ষ জানায়, তদন্তের এই পর্যায়ে বোয়িং ৭৮৭-৮ পরিচালনাকারী কিংবা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো সুপারিশযোগ্য পদক্ষেপের প্রয়োজন দেখা দেয়নি। সূত্র : রয়টার্স

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে