আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের মসুল শহরে অবস্থিত দেশটির সর্ববৃহৎ বাঁধ যে কোনো সময় ধ্বসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির সরকার এবং বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস। ওই এলাকায় বসবসারত নাগরিকদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছে দাগদাদ। সেই সাথে মার্কিন নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে ইরাক ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস অধিকৃত ইরাকের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর মসুলে ট্রাইগ্রিস নদীর বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে মুহুর্তের মধ্যে শহরটি ২১ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন পানিতে প্লাবিত হবে বলে মার্কিন নিরাপত্তা বার্তায় বলা হয়েছে।
আর টাইগ্রিস নদীর উজানে অবস্থিত অন্যান্য শহরের মধ্যে তিকরিত, সামারা ও রাজধানী বাগদাদও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্লাবিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।
নিরাপত্তা বার্তায় বলা হয়, ‘ঠিক কখন বাঁধটি ধ্বসে পড়বে তা নির্ধারণ করা সম্ভব না হলেও হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এড়ানোর জন্য বাঁধের আশেপাশের অঞ্চল থেকে জরুরি ভিত্তিতে লোকজন সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে’।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি রবিবার বলেন, নিরাপত্তা সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে তবে পরিস্থিতি অতটা আশঙ্কাজনক নয়।
২০১৪ সালে আইএস বাঁধটি দখল করার পর আশঙ্কা করা হয়েছিল তারা বাঁধটি ধ্বংস করে মসুল ও বাগদাদের হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। তবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন জোটের বিমান হামলার সহায়তায় বাঁধটি পুর্নদখল করে ইরাকি বাহিনী। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণে বিঘ্ন ঘটায় বাঁধটিতে ভাঙ্গন দেখা দেয়।
সেসময় জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি মেরামতের জন্য একটি ইতালিয়ান কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা জানায়, ১৯৮০ সালে বাঁধটি নির্মাণকালীন সময় থেকেই এটি অবকাঠামোগত ত্রুটিযুক্ত।
মসুল বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ডিপার্টমেন্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার হোসেন হামাদ বলেন, বাঁধটি প্রথম থেকেই ১০০% নিরাপদ ছিল না।
ইরাকি পানিসম্পদ মন্ত্রী গতমাসে বলেন, বাঁধটি ধ্বংসের সম্ভাবনা কম এবং এর বিকল্প হিসেবে নতুন একটি বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
০১ মার্চ ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস