মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ১২:০৭:৫৩

বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা, রণক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা

বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা, রণক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সরকারি চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা। সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে রাজ্যটির প্রশাসনিক প্রধান দফতর নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচিতে চাকরি হারা হাজার হাজার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে তারা মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি কেলেঙ্কারিতে চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডাকে সোমবার নবান্ন অভিযানে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা।

 এলাকাটির সংযোগস্থল হাওড়া ও কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এই উত্তেজনা। মূলত ‘যোগ্যদের চাকরিতে ফেরাও’ এই দাবিতে হাওড়া স্টেশন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয় নবান্নের উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।

হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর দিকে এগিয়ে গেলে মল্লিক ফটক এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের পথ আটকে দেয় পুলিশ। কলকাতা ও হাওড়া পুলিশ ছাড়াও অতিরিক্ত নিরাপত্তার অংশ হিসেবে মোতায়েন করা হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও কমব্যাট ফোর্স।

তবে আন্দোলনকারীরা পুলিশি বাধা অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি, পাল্টাপাল্টি ধাক্কাধাক্কি। তবে বিকেলের মধ্যে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের চার দফার প্রধান দাবি, রিভিউ নয়, সরাসরি রি-প্যানেল প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। ওএমআর শিট ও সার্টিফায়েড মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের স্বাস্থ্য ও মর্যাদাসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিসহ অবিলম্বে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে মমতা প্রশাসনকে।

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরির ইতিহাসে এক বড়সড় ধাক্কা হিসেবে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয় আদালতের রায়ে। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বিপুল সংখ্যক অযোগ্য প্রার্থী ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন।

তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, তারা সেই দোষীদের মধ্যে পড়েন না, তারা সত্যিকারের মেধার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়েই এই চাকরি পেয়েছিলেন। তাই, একক সিদ্ধান্তে সবাইকে চাকরিচ্যুত করা অমানবিক ও অন্যায় এমনটাই দাবি তাদের।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে