মঙ্গলবার, ০১ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৩৪:৫৪

একদিনের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী হলেন পাঞ্জাবের কিশোর

একদিনের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী হলেন পাঞ্জাবের কিশোর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে যখন বাড়ির পথে রওয়ানা হলেন কিশোর পিজে তখন তার মাথায় একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। এটাওয়ায় পার্লামেন্ট হিলে এক রাতের জন্য সে কি সত্যি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল? গায়ে কয়েকবার চিমটিও কেটেছিল সে জেগে রয়েছে কি না, দেখতে৷ ব্যাথা পাওয়ার পরই বুঝতে পেছে, না সে এখনো জেগে রয়েছে। একদিনের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল প্রবজ্যোতে লখনপাল৷

আর এজন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মেক এ উইশ’-কে ধন্যবাদ জানাচ্ছে পিজে৷ মারণ ক্যানসারে আক্রান্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার বর্তমান বাসিন্দা এই কিশোর৷ তিন বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছে সে৷

পিজের বাবা সুরিন্দর লখনপাল৷ ১৯৮৮ সালে পিজের দাদা পঞ্জাবের মান্ডি আহমেদগড় থেকে কানাডায় চলে আসেন৷ বর্তমানে তারা ব্রমপটনের বাসিন্দা৷ সুরিন্দর লখনপাল জানান, আড়াই বছর আগে তার ছেলে যখন হাসপাতালে তখন কানাডার সংস্থা ‘মেক এ উইশ’-এর সঙ্গে তাদের পরিচয়৷ সংস্থাটি যে সব শিশু-কিশোর মারণ রোগে আক্রান্ত তাদের ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা করে৷ সংস্থাটিকে পিজে জানিয়েছিল তার স্বপ্নের কথা৷ তারাই সব ব্যবস্থা করে৷

স্বপ্ন পূরণের বব্যস্থা পাকা হয়েছে জানারপর ছেলে, স্ত্রী ও মেয়েক নিয়ে ওটাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন সুরিন্দর লখনপাল৷ টরেন্টো বিমানবন্দরে যখন নামেন তখন সেখানে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা অপেক্ষা করছিলেন৷ এরপর একটি কনভয় পিজে কে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় তাকে নিয়ে যায় পার্লামেন্ট হিলের কাছে শাতু লরিয়ে হাটেলে৷ সেখানে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে তার থাকার ব্যবস্থা হয়৷ পরদিন কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টন পিজেকে অভ্যর্থনা জানান৷

পিজে চায় বড় হয়ে সে একজন সফল রাজনীতিবিদ হবে৷ দেশের সেবা করবে৷ সেই স্বপ্ন একদিনের জন্য যে পূর্ণ হয়েছে, তাতে খুশি সুরিন্দর লখনপাল৷ একদিনের প্রধানমন্ত্রিত্বে কথা স্বরণ করে তার চোখে জল এসেযায়৷ বাবার একটাই আক্ষেপ, মেক এ উইশ যদি তার সন্তানের মারণ রোগ সারিয়ে দিতে পারত৷
০১ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে