আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করেছে সৌদি আরব। দু’সপ্তাহ আগে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আন্তর্জাতিক জোটভুক্ত ৬৫ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন সালমান এ বিষয়ে আলোচনা করেন। সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ আসেরি গতকাল (সোমবার) এ কথা জানিয়েছেন। রেডিও তেহরানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
তিনি জানান, ‘সিরিয়ার অভিযান নিয়ে রাজনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে তবে সামরিক পর্যায়ে তা হয় নি। যদি এ অভিযান চালাতে হয় তাহলে কত সেনা পাঠানোর প্রয়োজন হবে, কীভাবে এবং কোথায় তারা যাবে- এসব বিষয়েও আলোচনা হতে হবে।’
তুরস্কের ইনজারলিক বিমানঘাঁটিতে পৌঁছানো জঙ্গিবিমানের সাহায্যে সিরিয়ায় দায়েশ সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা চালানোর জন্য সৌদি আরব এখন প্রস্তুত বলেও জানান জেনারেল আসেরি। সিরিয়ায় যখন যুদ্ধবিরতি চলছে তখন এ খবর বের হলো।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন ৬৫ জাতির আন্তর্জাতিক জোট ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর দাবি করে আসছে তবে এ পর্যন্ত দায়েশের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো হামলার নজির দেখা যায় নি। এ জোটে সৌদি আরব রয়েছে; তারপরও সৌদি আরব কেন সিরিয়ায় আলাদা করে হামলার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি আরব সিরিয়ায় স্থল অভিযান চালানোর বিষয়ে খুবই সরব হয়েছে এবং তারা বলছে, দায়েশ নির্মূলের জন্য স্থল হামলা জরুরি। কিন্তু তারাই এতদিন এসব উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। এ দেশটির সঙ্গে একই অবস্থান রয়েছে প্রতিবেশী তুরস্ক।
০১ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই