এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র সাড়ে তিন মাস (সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ ধরে)। পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি না হলে নির্বাচনে অংশ নেবে না, বক্তব্যে লোকদেখানো এসব কথা বললেও জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে পুরোদমে তাদের প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে, দেশের সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি; বরং প্রতিটি নির্বাচনী আসনেই প্রচার-প্রচারণা ও কাজ করে যাচ্ছেন দলটির একাধিক মনোনয়ন-প্রত্যাশী। বিএনপি এসব প্রার্থীর মধ্য থেকে বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগী, নেতাকর্মী ও জনগণের কাছে জনপ্রিয় প্রার্থীদের তালিকা করছে। জয়ের সম্ভাবনা রয়েছেন এমন প্রার্থীদেরই এবার মনোনয়ন দিতে চায় দলটি।
এ জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একাধিক টিম (জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা) মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তার কাছে পাঠিয়েছেন। যেসব আসনে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে সেখানে মনোনীত প্রার্থীকে তিনি নিজে ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছেন এবং অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন।
দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এমন সব তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দলটির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসেই শেষে বা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ৩০০ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের (জেলা বা বিভাগভিত্তিক) সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করে একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা তিনি ও স্থায়ী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা দিচ্ছেন এবং দেবেন। একই সঙ্গে দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে কাজ করা কিংবা বিরোধিতার চিন্তা করলে কঠোর শাস্তি, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে পরবর্তীতে অন্যভাবে সম্পৃক্ত করার বার্তাও দেয়া হচ্ছে প্রার্থীদের।
প্রতিবেদন সূত্রে আরও উঠে আসে, বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে ক্ষমতায় যাওয়া অনেকটা সময়ের ব্যাপার মনে করেছিলেন বেশির ভাগ নেতাকর্মী। তবে ধীরে ধীরে তাদের সেই স্বপ্ন ভাঙতে শুরু করেছে। কিছু কিছু এলাকায় দখল, চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু অপকর্ম, সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ভাবিয়ে তুলেছে বিএনপিকে।
অবস্থা এমন হয়েছে, দলের একাধিকবার নির্বাচিত এমপি প্রার্থীও এবার পরাজিত হতে পারেন বলে দলের চেয়ারম্যানের কাছে বার্তা পৌঁছেছে। যদিও তিনি ৫ আগস্টের পর থেকেই নেতাকর্মীদের সতর্ক করে আসছেন, জানিয়েছেন নির্বাচন সহজ হবে না।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার কয়েক দিন পর আপনাদেরকে বলেছিলাম, আমাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই ভাবছেন, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, আগামী নির্বাচন কী আর এমন কঠিন হবে।
আমি বলেছিলাম, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে। এক বছর আগে আমি বলেছিলাম, অদৃশ্য শক্তি বিভিন্নভাবে কাজ করছে, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আজকে কি আমার কথার অর্থ বুঝতে পারছেন আপনারা? আমার কথার অর্থ অনুধাবন করতে পারছেন? কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, আগামী দিনে আমরা ইনশাআল্লাহ সফল হবো। যদি বিএনপি নামক পরিবারটির সব সদস্য ঐক্যবদ্ধ থাকে।
ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, নির্বাচনে এই কঠিন অবস্থা বুঝতে পেরে তাই ত্যাগী, যোগ্য, জনপ্রিয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে বিএনপি। নানা প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধানে উঠে এসেছে সারা দেশের ৩০০ আসনের প্রতিটিতে পাঁচ থেকে ১০ জন করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার মতো যোগ্য নেতা রয়েছেন।
এসব নেতার মধ্যে কিছু নেতাকে নিয়ে বিতর্ক হলেও ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ নেতা বিগত ১৮ বছর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে দলের পতাকা ধরে রেখেছেন। বিএনপির রাজনীতি করায় ব্যবসা-বাণিজ্য খুইয়েছেন, বছরের পর বছর এলাকাছাড়া ছিলেন; এমনকি গ্রেফতার এড়াতে ফেরারির মতো বছরের পর বছর ঘুরে বেড়িয়েছেন।
কিন্তু সংসদীয় আসন সংখ্যা মাত্র ৩০০। ফলে একটি আসনে যতজনই যোগ্য নেতা থাকুক, মনোনয়ন দিতে হবে একজনকে। সে জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তথ্য সংগ্রহ-বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, প্রতিটি আসনে একাধিক মনোনয়ন-প্রত্যাশীর প্রতিযোগিতাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে দলটি।
তবে তাদের মধ্যে থেকে বিগত দেড় দশকের আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই-সংগ্রামে যারা হামলা, মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এবং ভোটারদের কাছে যার গ্রহণযোগ্যতা বেশি এমন প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিতে চান শীর্ষ নেতারা। এ লক্ষ্যে দলের বাইরে একাধিক টিম গঠন করে প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই তথ্য এবং দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতিটি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করছেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জানান, চলতি মাসে ৩০০ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চান তারেক রহমান। স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ সভায়ও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সেখানে দুধরনের বিষয় তুলে ধরেছেন কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য প্রস্তাব দেন শরিকদের যেসব আসন ছেড়ে দেয়া হবে সেগুলো বাকি রেখে অবশিষ্টগুলোতে প্রার্থী ঘোষণা দেয়া। আবার আরেকটি অংশ প্রস্তাব দেন, যেহেতু এখনো শরিকদের কতগুলো আসন ছেড়ে দেয়া হবে সেটি চূড়ান্ত হয়নি, সে জন্য প্রাথমিকভাবে ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করা হোক। পরবর্তীতে শরিকদের আসন এবং ঘোষিত প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করবেন তাদেরকে বাদ দিয়ে পুনরায় প্রার্থী ঘোষণা করা।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এলাকায় সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থীরাই বিএনপির মনোনয়ন পাবে। আমাদের একই আসনে অনেক প্রার্থী থাকতে পারে। সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি জনগণের কাছে কার অবস্থান ভালো। এলাকায় কে বেশি জনপ্রিয়, সেই খোঁজ-খবর আমরা নিচ্ছি। এ জন্য তৃণমূল থেকে শুরু করে অনেকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সিনিয়র নেতারা যার যার দায়িত্ব পালন করছেন।
রিজভী বলেন, আমরা এমন রাজনৈতিক দল নই যে, আগে থেকেই একজনের নাম সেভ করে রাখলাম। আমাদের দলে একই ধরনের একই মাপের অনেক নেতা থাকতে পারে। তাদের মধ্যে যে উপযুক্ত এবং বেস্ট প্রার্থী তাকেই আমরা বেছে নেবো। সেই বেস্ট প্রার্থী খোঁজার জন্য তো একটু সময় নিতে হয়। অনেকের একাধিক প্রার্থী নেই বলেই তারা একক প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়। অনেক দলে একক প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় এর বাইরে কেউ প্রার্থী হতে পারে না, এটি একটি ফ্যাসিস্ট সিস্টেম। ওই সব দলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই।
তিনি বলেন, এখনো তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। মোক্ষম একটা সময়ে প্রার্থীদের জানিয়ে দেয়া হবেÑ কে হচ্ছেন কোন আসনের প্রার্থী।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিসে বিভিন্ন জেলার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করছেন দায়িত্বশীল নেতারা। কোনো কোনো বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। এর মধ্যে সিলেট বিভাগ ও বগুড়া জেলার মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
মহাসচিব প্রথমে সুনামগঞ্জ জেলার মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলেন। সিলেট বিভাগে পর্যায়ক্রমে সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব। বৈঠকে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের অনেকে নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মহাসচিবের কাছে উপস্থাপন করেন। এ সময় মহাসচিব সবার বক্তব্য মন দিয়ে শোনেন।
বিএনপি মহাসচিব বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কিছু বার্তা মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের জানিয়ে দেন। তিনি বলেছেন, একাধিক জরিপের মাধ্যমে দল সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থীকেই বাছাই করবে। সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য নেতাকেই দল মনোনয়ন দেবে। কেউ যদি দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মোট কথা, সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, একক কোনো প্রার্থীকে দল এখনো চূড়ান্ত করেনি। মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের ডেকে মহাসচিব এ বার্তাই দিয়েছেন, ধানের শীষের মনোনয়ন যে-ই পান, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। কোনো ধরনের বিভেদ করা যাবে না।
একইভাবে বগুড়ার মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের ফোন করেছেন তারেক রহমান। বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, আমাকে সরাসরি তিনি (তারেক রহমান) ফোন দিয়েছেন, তারপর জানলাম বাকি আরো তিনজনকে ফোন দিয়েছেন কাজ করার জন্য। এটি এখন আপনি সবুজ সঙ্কেত বলেন, আর যদি বলেন যেÑ উনি বলেছেন, এটি যেকোনো ব্যাখ্যায় বলতে পারেন। একটি আসনে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আছে, সবাইকে তো তিনি ফোন দেননি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, প্রার্থী যাচাই-বাছাই চলছে। দলের দায়িত্বের বাইরে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রতিটি আসনের প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তাদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
যেখানে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে সেখানে তিনি নিজেই ফোন করে প্রার্থীকে বলছেন। আর যাদের মনোনয়ন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না তাদেরকে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা এবং দলের জন্য অবদানকেই বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। আর যারা বাদ পড়ছেন তাদের বিষয়ে দল ভিন্ন পরিকল্পনা করে রেখেছে। বিএনপি যদি নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে সরকার ও রাষ্ট্রে অনেক কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে, সেখানে তাদের সম্পৃক্ত করা হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। কোনো আসনে দলের ১০-১২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছে। কিন্তু সবাইকে তো মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ নেই, যেকোনো একজনকে দিতে হবে। বিএনপির প্রার্থী হবেন একজনই। যাকেই দল মনোনয়ন দেবে তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে এবং বিজয়ী করতে হবে। দল যদি বিজয়ী হয়, সরকার গঠন করে; তাহলে সবাইকে নানাভাবে কাজে লাগানো যাবে, আর যদি ব্যর্থ হয় তাহলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল, তখনই প্রার্থী অনেকটা বাছাই হয়ে গেছে। যারা সে সময় দলের জন্য কাজ করেছে, হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে, নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছে, কে কতটুকু অবদান রেখেছে বা এলাকার মানুষ কাকে কতখানি গ্রহণ করেছে তা বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। সে কাজগুলো চলছে।