বুধবার, ০২ মার্চ, ২০১৬, ০৫:০৮:০৭

৩৪০ দিন পর পৃথিবীর আলো বাতাসে ফিরলেন জোড়ামাণিক

৩৪০ দিন পর পৃথিবীর আলো বাতাসে ফিরলেন জোড়ামাণিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় এক বছরের অনন্য একটি সফর শেষ করে মাটির বুকে পা রাখলেন মার্কিন নভশ্চর স্কট কেলি (৫২)। নাসার হয়ে এক বছর মহাকাশে কাটানোর পরে বুধবার পৃথিবীতে ফিরে এলেন তিনি। কাজাকাস্থানে তার মহাকাশযান সোইয়ুজ যখন পৌঁছায় তখন তার সঙ্গী ছিলেন রাশিয়ার এক কসমোনট। এক বছরের এই সফরে কেলির সঙ্গেই ছিলেন মিখাইল করনিয়েনকো (৫৫)। সব মিলিয়ে মোট ৩৪০ দিন তারা মহাকাশে ছিলেন।

৩৪০ দিনের এই মহাকাশ সফরে তারা মোট ১৪৪ লক্ষ মাইল পরিক্রমা করেছেন, পৃথিবীর চারপাশে ঘুরেছেন মোট ৫৪৪০ বার এবং ১০৮৮০ বার কাক্ষিক সূর্যোদয় এবং সূর্য গ্রহণ দেখেছেন। এত দীর্ঘ সময়ের একক স্পেসফ্লাইট সফলভাবে সম্পূর্ণ করলেন কোনো মার্কিন নভশ্চর।

মহাকাশ থেকে দেখা তার শেষ সূর্যোদয়ের ছবি তিনি পোস্ট করেছেন তার ট্যুইটার পেজে। দশ ঘণ্টা আগে তার শেষ ট্যুইটে কেলি লিখেছেন, #Thanks for following our #YearInSpace The journey isn't over. Follow me as I rediscover #Earth! See you down below! -- সফর এখানেই শেষ নয়... সঙ্গে থাকুন আমার... পৃথিবীকে নতুন করে আবিষ্কার করব... নিচে দেখা হবে...

মাটিতে পা রাখার পর দুই নভশ্চরেরই নানা রকম ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। মঙ্গল গ্রহ নিয়ে আরো কোনো মিশনে যাওয়ার আগে নাসা নিশ্চিত হতে চায় একটি বিশেষ বিষয়ে... মাইনাস গ্র্যাভিটিতে এক বছর থাকলে মানুষের শরীরে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়।

প্রথম মার্কিনি হিসেবে কেলি দীর্ঘতম সময় মহাকাশে কাটালেও, এখনো সবার আগেই রয়েছেন রাশিয়ার এক ডাক্তার যিনি ৯০-এর দশকে ৪৩৮ দিন মহাকাশে কাটিয়েছিলেন।

২০৩০ সালে মঙ্গল অভিযানে যাওয়ার আগে এমনই আরও বেশ কয়েকটি একক মহাকাশ অভিযান করার ভাবনা রয়েছে নাসা-র। মঙ্গল অভিযানে যাওয়া আসার জন্যে মোট সময় লাগবে ২ বছর। সেই সঙ্গে রয়েছে অত্যধিক বিকিরণের প্রতিবন্ধকতাও।

একদিকে যখন মহাকাশে নাসার প্রতিনিধিত্ব করছেন কেলি, তখন নাসার ল্যাবে নিজেকে নিয়ে গবেষণা করার অনুমতি দিয়েছেন কেলির আইডেন্টিকাল টুইন, অবসরপ্রাপ্ত নভশ্চর মার্ক কেলি। দুই জেনিটিক ডাবল ব্যক্তির মধ্যে কি ধরনের পার্থক্য দেখা দিতে পারে এমন অবস্থায়, তা দেখার জন্যেই মেডিকাল গিনিপিগ হতে রাজি হয়েছিলেন স্কট কেলির ভাই।-টাইমস অফ ইন্ডিয়া
০২ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে