আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিপদ বলেকয়ে আসে না। বুধবার সকালে এমনই ঘটনা ঘটেছে। রেললাইনের ধারে প্রাতঃক্রিয়া করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ হঠাৎই চোখ যায় মেহগিনি গাছের মগডালে৷ সেখানে আরাম করছে চিতাবাঘটি। চিতাবাঘ দেখে চক্ষু চরকগাছ৷ প্রাণভয়ে কোনোমতে দৌড়ে বাঁচলেন এক যুবক৷
কিছুক্ষণের মধ্যেই দাবানলের মতো চিতাবাঘের খবর ছড়িয়ে পড়ে৷ মেহগনি গাছের কাছে ভিড় জমাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা৷ বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে আসার পর উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়৷
জনতার ভিড় সামলাতে বাধ্য হয়ে এসএসবিকে নিয়ে আসা হয়। এখনো রপর্যন্ত চিতাবাঘটিকে গাছ থেকে নামাতে পারেনি। গুলি করে চিতাবাঘটিকে কাবু করার চেষ্টা চালাচ্ছে বনদফতর৷
চিতাবাঘটি গাছের অনেকটা উপড়ে উঠে যাওয়ায় ঘুমপাড়ানি গুলি করা যাচ্ছে না। গাছের সামনে থেকে জনতাকে সরিয়ে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন বনকর্মীরা৷
চিতাবাঘটি আচমকা নিচে নেমে দৌড় দিলে অঘটন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চিতাবাঘটিকে যতটা সম্ভব গাছের মগডাল থেকে নিচে নামিয়ে গুলি করে কাবু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷
এ এলাকা থেকে সোনাখালির বন প্রায় ৭ কিমি দূরে। কী করে স্টেশনের কাছে চিতাটি চলে এল তা নিয়ে দ্বন্দ্বে বনদফতর৷
২ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম