আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন সংবিধানে নেপালের আদি বাসিন্দা মধেশি, থারুদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগও কমেছে। এই নিয়েই জ্বলে উঠল নেপাল। পোড়ানো হল সংবিধানের প্রতিলিপি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায় পুলিশ। প্রাণ হারান এক জন।
উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত জানায়, সংবিধান সংশোধনীই একমাত্র উপায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড এবং কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেওবা। উল্টো পথে হেঁটে চীন যদিও স্বাগত জানাল নেপালের নতুন এই সংবিধানকে। আপত্তি নেই, জানিয়ে দিল সে কথাও।
নতুন সংবিধান অনুযায়ী, সাতটি যুক্তরাষ্ট্রীয় অঞ্চলে ভাঙছে নেপাল। ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকছে সংসদ। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কারণে সেখানেই যথেষ্ট প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাচ্ছে না দক্ষিণ নেপালের মধেশিরা। দেশে তারা সংখ্যালঘুও বটে। সেখান থেকেই শুরু বিক্ষোভ। পুড়ল সংবিধানের প্রতিলিপি। প্রতিবাদে আত্মঘাতী সদ্ভাবনা দলের এক সদস্য। রাওতাহাটের গরুড় চক এবং বীরগঞ্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় পুলিস। বীরগঞ্জে গুলিতে নিহত এক জন।
বিরাটনগরে পুলিশের গুলিতে জখম হন তিন জন। বিক্ষোভের আঁচ সব থেকে বেশি দক্ষিণের মধেশি অধ্যুষিত তরাই অঞ্চলে। বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির বাড়িতে আগুন লাগিয়েছেন প্রতিবাদীরা। অশান্তির জেরে সীমান্ত পেরিয়ে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে আশ্রয় নিতে পারেন বহু মানুষ। বিক্ষোভের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্নালয়কে আগেই সতর্ক করেছিল নেপালের ভারতীয় দূতাবাস। যদিও তখন কান দেয়নি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্নালয়।
এখন দিল্লির উদ্বেগের কথা নেপালের রাজনীতিকদের জানিয়েছে কাঠমান্ডুর ভারতীয় দূতাবাস। নতুন সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে মধেশিদের অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মাওবাদী এবং কংগ্রেস নেতারা। সংবিধানে বঞ্চিত দেশের অর্ধেক মানুষ বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন সেদেশের মাওবাদী নেতা বাবুরাম ভট্টরাই। মহিলাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন দক্ষিণপন্থীরা। সংশোধনীর আগে সংবিধান নিয়ে উৎসব অর্থহীন বলেও জানান তারা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি