আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে আরব বিশ্বের সুলতান মনে করেন অনেকে। তাই তাকে নিয়ে বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছেই। এর অংশ হিসেবে তাকে বিতর্কিত করতে নানা ধরণের অবমাননাকর আসছে বিরোধীশিবির থেকে। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনাও ঘটেছে।
যেখানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড ও হামলা চালিয়ে আসছে, সেখানে এরদোগান তার যুক্তিযুক্ত ও সাহসী বক্তব্য দিয়ে তার জবাব দিয়েছেন। তার এই ভূমিকা পশ্চিমা দেশ এমনকি আরব বিশ্বের কোনো কোনো দেশের পছন্দ না হলেও বিশ্বের মুসলিমানদের কাছে তিনি একজন 'ট্রু লিডার' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
গত দুই বছরে এরদোগানকে অবমাননার জন্য ১,৮৫০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দেশটির জাতীয় সংসদে এ তথ্য দিয়েছেন আইনমন্ত্রী বাকির বোজদাগ।
বাকির বোজদাগ জানান, ২০১৪ সালে এরদোগান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এসব ব্যক্তি তাকে অবমাননা করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। সংসদে তিনি বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্টকে লোকজন যে স্তরের অবমাননা করেছে তা আমি উচ্চারণ করতে পারব না; আমি স্রেফ লজ্জিত হচ্ছি।
সমালোচকার বলে থাকেন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান আইনের অপব্যবহার করছেন যে আইনে প্রেসিডেন্টের অবমানা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আইনে তুরস্কের বহু সেলিব্রেটি, সাংবাদিক এমনকি স্কুল শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট এরদোগান দিন দিন আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। ফলে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সমালোচকরা বলছেন, ধীরে ধীরে এরদোগানের ভেতরে একনায়কসুলভ আচরণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে এবং সমালোচনাকে তিনি অবমননা হিসেবে গণ্য করেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস