আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবানন ভিত্তিক শিয়া সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা দিয়েছে আরব বিশ্ব। সেই সঙ্গে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগও তুলে ধরেছে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা (জিসিসি)।
বিশ্বব্যাপী শিয়া গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন ও সহায়তা দিয়ে আসছে ইরান। শিয়া এই দেশটির ঘনিষ্ট মিত্র হলো লেবানিজ সংগঠন হিজবুল্লাহ। তাদের একটি সামরিক শাখা আছে। হিজবুল্লাহর শিয়া যোদ্ধারা সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে যুদ্ধ করছে। এখন ইরান কি প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটিই দেখার বিষয়।
জিসিসির মহাসচিব আবদুল্লাহতিফ আল-জায়ানি বলেছেন, হিজবুল্লাহ শিশুদের নিয়োগ দিয়ে সন্ত্রাসী কাজে লাগাচ্ছে। যে কারণে তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার ছয় সদস্য দেশ সুন্নীপ্রধান। জিসিসির সদস্য দেশগুলো হলো- বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ছয় দেশেই রাজতন্ত্র রয়েছে।
সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান হিজবুল্লাহকে সমর্থন দেয়। সৌদি ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ ওপর চাপ বাড়তে থাকে। তা ছাড়া লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহ শক্তিশালী। সৌদি আরবের সঙ্গে লেবাননেরর সুসম্পর্ক মেনে নেয় না তারা।
মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নী প্রধান দেশগুলোতে শিয়াদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা থাকলেও ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াকু অবস্থানের কারণে দলটি অনেকের কাছেই প্রিয়।
এদিকে হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া-সুন্নী সম্পর্ক আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস