আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভোরের আলো ফোটার আগে তিউনিসিয়ার সিদি বু সাইদ বন্দরে ভিড় জমে ‘গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা’-এর শত শত সদস্যের। তারা ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা হুমকির মুখে থাকলেও অংশগ্রহণকারীরা থেমে যাননি।
ফ্লোটিলার খবর পেয়ে ১৬টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (বাংলাদেশ, তুরস্ক, স্পেন, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, পাকিস্তান, কাতার, ওমান, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা) একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, “ফ্লোটিলার ওপর কোনো অবৈধ বা সহিংস আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না।” তারা মানবিক আইনকে সম্মান করার এবং শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার গুরুত্বও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ফ্লোটিলায় ৩০০-এর বেশি অংশগ্রহণকারী রয়েছেন—মানবাধিকার কর্মী, সংসদ সদস্য, শিল্পী, লেখক ও সাধারণ মানুষ। তাদের সঙ্গে দুটি সঙ্গী জাহাজ রয়েছে—একটি আন্তর্জাতিক আইনজীবী পর্যবেক্ষক নৌকা এবং ইতালিভিত্তিক সমুদ্র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘লাইফ সেভার ট্রু’।
মুখপাত্র ব্রুনো গিলগা বলেন, “আমরা শুধু ত্রাণ বয়ে নিয়ে যাচ্ছি না, বিশ্বের মানুষের পক্ষ থেকে শক্ত বার্তাও নিয়ে যাচ্ছি। ফিলিস্তিনিদের আমরা ভুলিনি, আমরা তাদের পাশে আছি।”
ফ্লোটিলা যাত্রা ইসরায়েলের ২বার হামলার শিকার হওয়া সত্ত্বেও শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অঙ্গীকারের মাধ্যমে এই যাত্রা মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথাও বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।