শুক্রবার, ০৪ মার্চ, ২০১৬, ০১:১৩:১২

৭১-এর সেই মার্কিন ৭ম নৌবহর এবার দক্ষিণ চীন সাগরে, কিন্তু কেন?

৭১-এর সেই মার্কিন ৭ম নৌবহর এবার দক্ষিণ চীন সাগরে, কিন্তু কেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে বঙ্গোপসাগরে যে নৌবহর পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আলোচিত সেই সপ্তম নৌবহরটি এবার বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে পাঠানো হয়েছে। এই নৌবহরে বিমানবাহী রণতরী জন স্টেনিস, দুটি ডেস্ট্রয়ার, দুটি ক্রুইজার ও সপ্তম নৌবহর ফ্লাগশিপ রয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় চীনের কৃত্তিম দ্বীপ নিয়ে উভয় দেশের মধ্য ব্যপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই মার্কিন-জাপান-ভারত সামরিক মহড়ার প্রস্তুতিও শষে করেছে। ঠিক তার পরেই মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টা যাবৎ এই নৌবহর অবস্থান করছে।

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীন নিয়ন্ত্রিত জলসীমায় নৌবহর প্রেরণ করায় ওই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিমানবাহী রণতরী স্টেনিস জানুয়ারির ১৫ তারিখে ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো হয়েছে।

চীনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ চীন সাগরকে সামরিকীকরণের অভিযোগ জানিয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় মার্কিন নৌ কমান্ডার এডমিরাল হ্যারি হ্যারিস। তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্যারাসেল দ্বীপে চীন ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে।

হ্যারি বলেন, ‘২৪ ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ চীন সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে চীন পরিস্কারভাবে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে’।

এদিকে, সপ্তম নৌবহরের একজন মুখপাত্র দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবহর মোতায়েনের খবর নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জাহাজ ও রণতরী কয়েক দশক থেকেই দক্ষিণ চীন সাগরসহ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় জলসীমায় নিয়মিত টহল দিয়ে আসছে। এটি নৌবাহিনীর রুটিন টহল। শুধুমাত্র ২০১৫ সালে মার্কিন নৌবহর দক্ষিণ চীন সাগরে ৭০০ সম্মিলিত দিন টহল দিয়েছে’।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে স্টেনিস ও সপ্তম নৌবহর ফ্লাগশিপ পাঠিয়ে চীন ও ওই অঞ্চলের প্রতি পরিস্কার বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে ওই অঞ্চলের ৬ টি দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। রীফ, কোরাল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর স্পার্টলি দ্বীপে চীন স্থাপনা নির্মাণ করে তাদের দখল পাকাপোক্ত করতে চাইলে বিরোধীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়। চীনের এই অপচেষ্টা প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র বারবার তাদেরকে সতর্ক করে দেয়।

অবশ্য দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ১৯৭৪ সালে প্যারাসেল দ্বীপের মালিকানা নিয়ে দক্ষিণ ভিয়েতনাম ও চীনের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছিল।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে