নিউজ ডেস্ক : ঝোড়ো বক্তৃতায় বৃহস্পতিবার মোদিকে আগাগোড়া আক্রমণ করেছিলেন রাহুল গাঁন্ধী। নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার তার জবাব দিলেন ভারতের লোকসভায়। আর সেই কাজটি করতে গিয়ে কৌশলে অস্ত্র করলেন গাঁন্ধী-নেহরু পরিবারকেই!
চেনা নাটকীয় ভঙ্গিতে কখনও জওহরলাল নেহরু, কখনও ইন্দিরা গাঁন্ধী, কখনও রাজীব গাঁন্ধীর উদ্ধৃতি তুলে দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চাইলেন, সংসদ অচল রেখে রাহুল তার পূর্বপুরুষদের কথারই অন্যথা করছেন! রাহুলের বয়স হয়েছে। কিন্তু বোধশক্তি হয়নি।
রাহুলের আক্রমণের জবাব মোদি কী ভাবে দেন, তা দেখতেই শুক্রবার মুখিয়ে ছিল গোটা বিজেপি শিবির। গোড়ায় যেন একটু চাপে ছিলেন মোদি। তার হাত কাঁপতেও দেখেছেন কোনও কোনও সাংসদ। তবে বক্তৃতা একটু দানা বাঁধতেই ছন্দে ফেরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তখন থেকেই রাহুল তথা গাঁন্ধী পরিবারের দিকে উড়ে আসে মোদির বাছাই করা তীর।
গত কাল বিজেপি শিবিরে ফাটল ধরানোর একটা চেষ্টা করেছিলেন রাহুল। মোদী অন্য কারও কথা শোনেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আজ সেই অস্ত্রই পাল্টা প্রয়োগ করেছেন মোদী। সংসদে হইহল্লার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘‘বিরোধী শিবিরের কেউ কেউ হীনমন্যতায় ভোগেন। পাছে অন্য কেউ আরও একটু ভাল বলে ফেলেন, সেটা ঠেকাতেই হল্লা হয়।’’ এই কটাক্ষও যে রাহুলের উদ্দেশে, বুঝতে অসুবিধে হয়নি। কারণ একটু পরেই মোদী বলেছেন, ‘‘অনেকের তো বয়স বেড়ে চলে, কিন্তু বোধশক্তি বাড়ে না!’’ হুবহু একই কথা গত কাল বলেছিলেন অরুণ জেটলি।
মোদি কিন্তু এখানেই থামেননি। লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো বর্ষীয়ানদের বিজেপিতে গুরুত্বহীন করে দেওয়া নিয়ে এত দিন মোদিকে আক্রমণ করেছেন রাহুলরা। শুক্রবার একই ভাবে মোদি অভিযোগ করেছেন, রাহুল কখনও মনমোহন সিংহ সরকারের অর্ডিন্যান্স ছিঁড়ে ফেলার কথা বলেছেন। কখনও (ভোটের আগে) প্রকাশ্যে ছিঁড়েও ফেলেছেন মুলায়ম সিংহের প্রতিশ্রুতির তালিকা। মোদি বোঝাতে চান, বড়দের অপমান করাটা আসলে রাহুলেরই অভ্যাস।
এই বক্তব্যের ফল যে হয়নি, তা নয়। মোদির বক্তৃতার পরে সনিয়ার পাশে বসে থাকা মুলায়ম সিং উঠে এসে মোদির হাত ধরে অভিনন্দন জানিয়ে যান।
৫ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস